ঢাকা ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি


চিনির মূল্য তিনদিনে মণপ্রতি ৬০ টাকা কমেছে

redtimes.com,bd
প্রকাশিত মার্চ ২, ২০২৩, ১১:৪৭ অপরাহ্ণ
চিনির মূল্য তিনদিনে মণপ্রতি ৬০ টাকা কমেছে

কপিল দেব:

আমদানি শুল্ক কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে চিনির বাজারে। গত তিন দিনে মণ প্রতি ৬০ টাকা কমেছে চিনির মূল্য।

খাতুনগঞ্জের চিনি ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে গত কয়েক মাসে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলছিল চিনির দাম। আসন্ন রমজানে এ মূল্য আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এর প্রেক্ষিতে চিনির বাজারের উত্তাপ কমাতে সরকার আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৯ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার চিনি আমদানিতে শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে। এতে বলা হয়, হ্রাসকৃত শুল্কের এই সুবিধা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এছাড়া প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে তিন হাজার টাকা ও পরিশোধিত চিনি আমদানিতে ছয় হাজার টাকা আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়।

খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারের শীর্ষ ব্যবসায়ী আলমগীর মোহাম্মদ পারভেজ আজ বাসস’কে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ে। এর প্রেক্ষিতে দেশীয় বাজারে চিনির মূল্য ক্রমে বাড়ছিল। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব দ্রুত বাজারে পড়ে।

গত রোববার চিনি মণপ্রতি ৩ হাজার ৯৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। শুল্ক হ্রাসের পর গত তিনদিনে পর্যায়ক্রমে কমে আজ মণপ্রতি ৩ হাজার ৮৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে মণপ্রতি ৬০ টাকা কমেছে।’

আলমগীর পারভেজ আরো বলেন, তবে সুগার মিলগুলো যদি চিনি সরবরাহ স্বাভাবিক না রাখে, তবে বাজার আবার অস্থির হয়ে উঠতে পারে। ঢাকার চারটি সুগার মিলের মধ্যে একমাত্র ফ্রেশ তাদের সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। অপর তিনটি মিল- সিটি, ইগলু ও দেশবন্ধু চিনি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। চট্টগ্রামের একমাত্র এস আলম সুগার মিলের সরবরাহ যথেষ্ট ভালো রয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে তদারকির উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

খাতুনগঞ্জের চিনির আড়তদাররা জানান, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা পণ্য বেচাকেনায় নিজস্ব কিছু প্রথা অনুসরণ করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) স্লিপ। চিনি কিংবা অন্য কোনো পণ্য পাইকার অথবা মিল থেকে কেনাবেচায় সুবিধাজনক সময়ে অগ্রিম ডিও কিনে নেন ব্যবসায়ীরা। আবার বাজার বুঝে সুযোগমতো পণ্য সরবরাহ না নিয়েই এ ডিও বিক্রি করে দেন। ক্ষেত্র বিশেষে একটি ডিও দুই/তিন হাত ঘুরে পণ্য সরবরাহ পায়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার রমজানের বেশ আগে থেকে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজারের ওপর সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। কোথাও সমস্যা দেখা গেলে তাৎক্ষণিক ওই ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। নিয়মিত মনিটরিং ও কাউন্সেলিং হচ্ছে। ফলে এবার রমজানে বাজার অস্থির করার তেমন সুযোগ পাবে না অসাধু চক্র।বাসস

সংবাদটি শেয়ার করুন

September 2024
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930