২৭শে জানুয়ারি ২০২১ ইং | ১৩ই মাঘ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
এসবিএন ডেস্ক: মাহিম হাওলাদার (৬) মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরসেলিমপুর ফজলুল উলুম সেরাতুল কুরআন মাদরাসার শিশু শ্রেণীর ছাত্র। গোসল না করে মাদরাসায় যাওয়ার অপরাধে শিশু মাহিমকে নির্যাতন চালিয়েছে অত্র মাদ্রাসার সুপার।
অভিযোগে জানা গেছে, ঠাণ্ডা পানিতে দাঁড় করিয়ে রাখার পর চুলার জ্বলন্ত আগুনে ছেঁকা দিয়ে ওই শিশু ছাত্রের বুক দগ্ধ করেছে ওই মাদরাসার সুপার। যন্ত্রণাকাতর এ শিশুটি শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মাহিমের বাবা গৌরনদী উপজেলার সাকোকাঠী গ্রামের নুর আলম হাওলাদার জানান,সম্প্রতি ওই মাদরাসার শিশু শ্রেনীতে তাকে ভর্তি করানো হয়। সে মাদরাসার ছাত্রাবাসে থাকত। ঘটনার দিন বুধবার গোসল না করে মাদরাসায় যাওয়ার অপরাধে মাদরাসা সুপার মাওলানা মো. আল-আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লাশরুমে মাহিমের গলা চেঁপে ধরে। একপর্যায়ে শিশু মাহিম ক্লাশ রুমেই পায়খানা করে দেয়। এতে সুপার আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মাহিমকে মাদরাসার পুকুরে নামিয়ে গলা অবধি পানির মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখে। মাহিম শীতে কাঁপতে থাকলে সুপার মাহিমকে পুকুর থেকে তুলে হাত-পা ধরে মাদরাসার রান্নাঘরের জ্বলন্ত চুলায় আগুনের ছেঁকা দেয়। এতে মাহিমের পেটের একটি অংশ পুড়ে দগ্ধ হয়।
ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য মাদরাসা সুপার ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখান। এরপর অতিগোপনে তিনি মাহিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। শিশুটির বাবা আল হাওলাদার এ খবর জানতে পেরে হাসপাতালে ছুটে যান।
এরই মধ্যে সুপার আল-আমিন শিশু মাহিমকে ফেলে রেখে আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে গৌরনদী হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাহিমকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়।
মাহিমের বাবার অভিযোগ, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মাদরাসা সুপার স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজসে মাহিমের পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছেন।
অভিযুক্ত সুপার মাওলানা মো. আল-আমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766