তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ ও তাদের পৃষ্ঠপোষকেরা জাতীয় বিকাশের পথে প্রধান বাধা ।‘বাংলাদেশের উন্নয়নের বিমানকে শেখ হাসিনা অনেক কষ্টে ‘টেক অফ’ করিয়েছেন। আর রাজনীতির বিষবৃক্ষ-তেঁতুলতত্ত্ববাদীরা সে বিমানকে ‘গ্রাউন্ডেড’ করতে চায়। ৯৩দিনের আগুনযুদ্ধ দেখে জাতি তা বুঝেছে। সেকারণেই তেতুলতত্ত্বের অনুসারী আর বিষবৃক্ষ রাজনীতিতে থাকবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সোমবার বিকেলে ঢাকার উত্তরা ক্লাবে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি বিভাগ আয়োজিত ফ্যাশন শো’তে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ বি তাজুল ইসলাম এমপি, বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন আরা লেখা প্রমূখ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব কথার শেষ কথা, শান্তি-স্থিতিশীলতা না থাকলে উন্নয়নের সব চেষ্টা ভেস্তে যাবে, জঙ্গীবাদের নালা দিয়ে সব চেষ্টা ভেসে যাবে। বাংলাদেশের উন্নয়নের বিমানের চালকের আসন যেন পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির ধারকদের হাতে না যায়।’
’ ইনু বলেন, ‘ফ্যাশন, পোশাক, রুচি, সংস্কৃতি ও সভ্যতার বহিঃপ্রকাশ। ফ্যাশন শো’র প্রতি নেতিবাচক ধারণা কমাতে হবে। ফ্যাশন প্রতিযোগিতা ও শো’র মাধ্যমে সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশের সুযোগ দিতে হবে। ফ্যাশন শো বেলেল্লাপনা নয়। আমাদের সরকার তেঁতুলহুজুরদের আবদার মেনে নেয়নি। ফ্যাশন জগতে আমাদের দেশ বিশ্বের সাথে পাল্লা দিচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ফ্যাশন মানুষ বা সংস্কৃতিকে ছাড়িয়ে যায়না। বরং মানুষের বেশভূষা সময়ে সময়ে ফ্যাশনে পরিণত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র মুজিব কোট সার্বজনীন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। রবিঠাকুরের বাড়ির নারীদের কুচি দিয়ে পরা শাড়ি সার্বজনীনতা পেয়েছে।’
বিশে^র বিভিন্ন ফ্যাশনের ধারার সাথে বাঙালি সংস্কৃতির মানানসই ফ্যাশনকে আরো এগিয়ে নিতে ফ্যাশন ডিজাইনারদের কাজ করতে হবে, বলেন ইনু।
সংবাদটি শেয়ার করুন