এসবিএন ডেস্ক: জন্মদাতা পিতা কে তা জানতেন না আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কাসিই সাক্সের টোলবি। তার মা ব্যাংক থেকে স্পার্ম কিনে গর্ভবতী হয়েছিলেন। বড় হয়ে বাবাকে খুঁজতে শুরু করেন তিনি। অবশেষে বাবাকে তো পেলেন-ই, সেইসঙ্গে খুঁজে পেলেন পিতার ঔরসজাত আরো ১৬ ভাইবোনকে।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কাসিই সাক্সের টোলবি (১৯) ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট করতে গিয়ে তার ১৬ ভাইবোনকে খুঁজে পেয়েছেন। তার ক্লাস অ্যাসাইটমেন্টের বিষয় ছিলো, নিজের বংশানুক্রম লেখা। তার মা সাত বছর বয়সে বলেছিলেন, তার জন্ম স্পার্ম দাতার স্পার্ম থেকে।
এ তথ্য মনে হলে তিনি তার বায়োলজিক্যাল পিতার তথ্য অ্যাসাইনমেন্টে সংযুক্ত করার উদ্দেশে অনলাইনে তার খুঁজ করতে থাকেন। ওই স্পার্ম দাতার স্পার্ম থেকে আরো ১৬ জনের জন্ম হয়েছে। তারপর শুরু হয় সেই ভাইবোনদের সন্ধান। এ পর্যন্ত তিনি ১৩ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন।
টোলবি তার স্পার্ম দাতার আইডিতে দেখেন তার পিতা একটি কলেজের অধ্যাপক। তার পিতার চুলের রঙ সোনালি। উচ্চতা পাঁচ ফুট এগারো ইঞ্চি। ১৯৬৯ সালে নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
টোলবির মা তাকে সাত বছর বয়সে বায়োলজিক্যাল পিতার কথা বলেছিলেন। আরো সাত বছর পর টোলবির যখন ১৪ বছর বয়স, তখন বায়োলজিক্যাল পিতা সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি হয়। ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট করতে গিয়ে বায়োলজিক্যাল পিতার বিষয়টি সামনে চলে আসে।
টোলবি বলেন, ‘বাবার আইডি নম্বর দিয়ে খোঁজ করার পর দেখি, তার স্পার্ম থেকে ১৬ জনের জন্ম হয়েছে। তখন আমার আবিষ্কারের মূল্য বুঝতে পারি। কারণ, এরাই আমার ভাইবোন। আমি আমার পরিবারের সন্ধান পেয়েছি।’
টোলবি বলেন, ‘প্রথমে আমার ভাইবোনদের সঙ্গে কথা বলতে সঙ্কোচ করতাম। ভাবতেই অবাক লাগে, সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষের ডিএনএ আমরা বহন করছি। ফেসবুকে ভাইবোনরা ছবি শেয়ার করেছি। আমাদের চেহারার মধ্যে মিল দেখে আমরা অবাক হয়েছি।’
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: [email protected]
Web Design by: SuperSoftIT.com