১০ই ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০১৬
এসবিএন ডেস্ক: “স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের পেছনে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা ছিল অর্থনৈতিক ও সামাজিক শোষণ থেকে মুক্তি, গণতান্ত্রিক অধিকার ও আত্মনির্ভরশীলতার অঙ্গীকার। মূলত পাকিস্তানের দুই অংশের চরম আর্থ সামাজিক বৈষম্যের কারণেও বেগবান হয়েছিল এদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে অর্থনীতি বিভাগের হীরক জয়ন্তী ও দ্বিতীয় অ্যালামনাই সম্মিলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
তিনি বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলা শুরু আলো-আঁধারের মধ্য দিয়ে। আলোর দিকটি ছিল বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরাধীনতা থেকে মুক্তির অদম্য আকাঙ্খা। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের মাধ্যমে সেটি পূরণ হয়। আর আঁধারের দিকটি ছিল এই যে, উত্তারাধিকার সূত্রে বাংলাদেশকে একটি দারিদ্রপীড়িত ও ভঙ্গুর অর্থনীতির হাল ধরতে হয়।”
অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা, অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. মোস্তফা কামাল মুজেরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “যে পাকিস্তান থেকে আমরা আলাদা হয়েছি, সেই পাকিস্তান এখন অর্থনীতির প্রায় সব ক্ষেত্রেই আমাদের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে। এককালের নেতিবাচক ধারণা পোষণকারী বিদেশী পর্যবেক্ষকরা তাঁদের অবস্থান পরিবর্তন করে এখন বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন। কেউ বা রোল মডেলও বলছেন। নামকরা সব বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখের হালে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতির ভঙ্গিটি প্রতিনিয়তই ধরা পড়ছে।”
তিনি আরোও বলেন, “বর্তমানে অর্থনীতি ও আর্থিক খাতে যে গতি এসেছে, তাকে আরো বেগবান করবার জন্য ব্যাংকিং খাতে যদি আমরা প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারি তাহলে সহজেই আজকের ২০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে আগামী ১০ বছরের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে পারবো। সেজন্য আমাদের জাতীয় সঞ্চয়ের হার আরো বাড়াতে হবে এবং সেই সঞ্চয়কে উত্পাদনশীল খাতে বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে। বিনোয়োগের সময় ধনবানের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্যও বাড়তি বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে হবে।”
“এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের প্রবৃদ্ধি যেখানে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ, সেখানে গত অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের হাতেগোনা তিন-চারটি দেশের একটি, যারা গত এক দশক ধরে গড়ে ছয় শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার আরো বেশি হবে।”
এর আগে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সামনে জাতীয় সংগীত ও বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। পরে ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা বের করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ দিন আগামীকাল শনিবার স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com