আবেদন করার শর্ত পূরণ না থাকা সত্ত্বেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ৪ জন শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে নিয়োগ পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ৪ জনসহ মোট ৬ জনকে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে সিলেকশন বোর্ড। যা শেষ পর্যন্ত (২৯ নভেম্বর, বুধবার) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটে পাশ হয় নি । এই নিয়োগে বিভাগীয় সভাপতি এ এস এম আবু দায়েনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। সম্ভাব্য নিয়োগকৃতরা হলেন- আমিনা খাতুন, সাবিহা নূর জামিন , আব্দুল বাশার, দীপা বসাক, শাহ মো. আরিফুল আবেদ।একটি সুত্র জানায় ,২০০৬ সালে বাংলা বিভাগে সে সময়ের সহকারি অধ্যাপক ডক্টর গোলাম মুস্তাফার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন আবু দায়েন । কথিত নারী কেলেংকারির অভিযোগে গোলাম মুস্তাফাকে বহিস্কারের হীন প্রচেষ্টা অবলম্বন করেন । আর সে কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার দুই ছাত্রী আমিনা খাতুন, সাবিহা নূর জামিন। তার ই পুরস্কার হিসেবে এই অযোগ্য দুই ছাত্রীকে নিয়োগ দেয়ার চেস্টা করছেন আবু দায়েন ।
অনুসন্ধানের জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বরে বাংলা বিভাগে দু’জন প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। কিন্তু তৎকালীন বিভাগীয় সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আনেন বিভাগের শিক্ষকরা। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়। এরপর ২০১৭ সালে ২৮ আগস্ট বর্তমান সভাপতি পুনরায় ৪ জন অস্থায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। দুই বিজ্ঞপ্তি মিলে মোট ৬ জন প্রার্থীকে এক সিন্ডিকেটে নিয়োগ দেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ভিন্ন ভিন্ন দু’টি সিন্ডিকেটে পাশ হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
অভিযোগ, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ২০১৫ সালে আমিনা খাতুন, সাবিহা নূর জামিন নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তিতে এসএসসি ও এইসএসসিতে রেজাল্টের কোন শর্ত উল্লেখ করা হয়নি। বিতর্কিত ওই নিয়োগ নিয়ে বিভাগের মধ্যে দ্বন্ধ চলায় তখন নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৪.২৫ ও মানবিক শাখা থেকে জিপিএ ৪.০ উল্লেখ থাকলেও এসব প্রার্থীদের প্রায় কারো ক্ষেত্রেই তা নেই। বিভাগটি থেকে সিন্ডিকেটে প্রেরিত পাঁচজন প্রার্থী মধ্যে সুপারিশকৃত আমিনা খাতুনের এসএসসিতে জিপিএ ৩.৬৩ এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৪.৪০, সাবিহা নুর জাবিনের এসএসসিতে ৩.১০ এবং এইচএসসিতে ৩.৮৮, আবার সনাতন পদ্ধতিতে পাশ করা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রথম বিভাগে পাশ করার কথা উল্লেখ থাকলেও সুপারিশকৃত শাহ আরিফুল আবেদ এইচএসসি পাশ করেছেন ২য় বিভাগ নিয়ে অপর প্রার্থী আবুল বাশার এসএসসি পাশ করেছেন ২য় বিভাগে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আবু দায়েন বলেন, এখানে আমারও কিছু করার নাই। এ সকল বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আমি এ বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারবো না।
সংবাদটি শেয়ার করুন