নীলফামারী প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলা হাতীবান্ধার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানি এলাকায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজে প্রতিনিয়তই বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভীর। বিশেষ করে ঈদ এবং সরকারি ছুটির দিনগুলোতে এখানে জমে উপচেপড়া ভীর। লালমনিরহাট, জলঢাকা, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁ সহ রংপুরের বিভিন্ন জেলার মানুষ এখানে বেশি আসে। এছাড়াও বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহী সহ প্রায় সারাদেশের মানুষ আসছে প্রতিনিয়ত। শুক্রবার ও অন্যান্য ছুটির দিনে দেশের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ পিকনিক কিংবা পরিদর্শনে আসছেন এখানে।
৫২ গেট বিশিষ্ট এই তিস্তা ব্যারেজে আছে অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত এই ব্যারেজে প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর। এটি এই এলাকার কক্সবাজার হিসাবে আখ্যা দিচ্ছে অনেকেই। বিশেষ করে স্হানীয় ও স্বল্প আয়ের মানুষদের কাছে এটাই কক্সবাজার।
বর্ষা ও খরা মৌসুমে এখানে আলাদা রুপ ধারন করে। বিশাল এই সেতুটি ছাড়াও এখানে উপভোগ করার মতো আরো আছে নৌকা ও স্পীড বোডে ঘুরে প্রকৃতি উপভোগ করার সুযোগ। পিকনিকের জন্য বিশেষ স্পট, এছাড়াও জেলেদের মাছ ধরা ও এই নদীর অত্যন্ত সুস্বাদু কিছু মাছ কেনার সুযোগ পেয়ে থাকেন অনেকে।
পর্যটকরা জানান, এখানে মানসম্মত কোন খাবার হোটেল নেই, ফলে অনেক পর্যটকেরই সমস্যা হয়। এমনকি একটা পানির বোতল কিনতেও যেতে হয় অনেক দূর। বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য উন্নতমানের থাকার ব্যবস্থা “অবসর” থাকলেও দূরের সাধারন পর্যটকদের জন্য আবাসিক হোটেল নেই। এজন্য দুরের পর্যটক আসতে চায় না। পাবলিক টয়লেট নেই,বিশেষ করে মহিলাদের জন্য খুবই জরুরি।
স্থানীয় কিছু বখাটের উৎপাত, বেপরোয়া মোটরসাইকেল গতি নিয়ে ঘুরাঘুরি। বৃষ্টি বা ঝড়ে পর্যটকদের আশ্রয়ের জন্য নেই কোন বসার ব্যবস্থা সহ ছাউনী।
প্রয়োজনে পর্যটকদের জন্য প্রবেশ মূল্য নির্ধারন করে সমস্যাগুলো সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করলে এটি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি পর্যটন এলাকা হিসাবে গড়ে উঠবে। সেই সাথে একদিকে যেমন সরকারের আয় বাড়বে অন্যদিকে এলাকার কয়েকশত বেকারের কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে মনে করেন দর্শনার্থী পর্যটকরা।