বিভিন্ন মহল নানা ধরণের চেষ্টা-তদবির চালালেও গত ১১ মাসে ড্যাপের বাইরে কোনো স্থাপনা নির্মানের অনুমোদন দেয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তারা। ড্যাপ নিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের সাথে আলোচনার অংশ হিসাবে সোমবার রাজউক সভাকক্ষে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সাথে মতবিনিময়কালে তারা এ দাবি করেন।
মতবিনিয়ম সভায় বক্তারা বলেন, রাজধানীসহ এর আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানীগুলো যার যার ইচ্ছেমতো সাইনবোর্ড টানিয়ে ও বিজ্ঞাপন দিয়ে জলাশয় দখল করছে। অনেকেই গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে ‘রাজউক অনুমোদিত’ কথাটিও ব্যবহার করছে। কিন্তু রাজউক এ ব্যাপারে কোনো ভূমিকা পালন করছে না। এভাবে জলাশয় ভড়াট, অপরিকল্পিত স্থাপনা গড়ে উঠলে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) কতটুকু সফল হবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন অনেকেই। এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাশয় উন্মুক্ত করন, বিল্ডিং কোড নীতিমালা, আবাসিক এলাকাগুলোতে খেলার মাঠ, স্কুল, কলেজসহ নানা সমস্যার কথা বিস্তারত তুলে ধরেন তারা।
জবাবে রাজউক কর্মকর্তরা তাদের সীমাবদ্ধতার কাথা জানানোর পাশাপাশি সমস্যাগুলো আমলে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেন। সভাপত্বির বক্তব্যে রাজউকের মেম্বার (পরিকল্পনা) জিয়াউল হাসান বলেন, ড্যাপে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার যে স্থান, যে ধরণের স্থাপনা নির্মাণ ও সংরক্ষণের জন্য ঠিক করা আছে এর বাইরে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। অনেক উচ্চ পর্যায় থেকে আবেদন এসেছে। সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানও আবেদন করেছে। কিন্তু এগুলো অনুমোদন দেয়া হয়নি। ড্যাপ সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজউকের প্রধান পরিকল্পনাবিদ ড. সিরাজুল ইসলাম, টিম লিডার আক্তার হোসেন চৌধুরী, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পাল, সহ সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক মতিন আব্দুল্লাহ প্রমুখ, মাহমুদা ডলি, তোফাজ্জল হোসেন, আহমেদ জামাল, সায়ীদ আব্দুল মালিক, খালিদ সাইফুল্লাহ, প্রমুখ।
সংবাদটি শেয়ার করুন