ছবি সংগৃহীত।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রান করেছেন মিডল-অর্ডার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। গেল মাসে ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ১০৫ রানের ইনিংস খেলে বড় ফরম্যাটে ৫ হাজার রান পূর্ণ করেন মুশফিক। ৮২ টেস্টে ৫২৩৫ রান আছে মুশির। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রান ক্লাবে নাম লেখাতে আর মাত্র ১৯ রান দরকার ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের। তামিমের ঝুলিতে আছে ৪৯৮১ রান। এন্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে ১৯ রান করতে পারলেই টেস্টে ৫ হাজার রানের মালিক হবেন তামিম।
শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে ৫ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশের দৌঁড়ে ছিলেন মুশফিক ও তামিম। মুশফিকের প্রয়োজন ছিলো ৬৮ রান। আর তামিমের দরকার ছিলো ১৫২ রান। দুই টেস্টের তিন ইনিংসে ৩০৩ রান করে ৫ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন মুশফিক। আর ঐ সিরিজে তামিম করেন ১৩৩ রান। তাই অপেক্ষা দীর্ঘ হয় তামিমের।
২০০৮ সালে ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয় তামিমের। এখন অবধি ৬৭ টেস্টের ১২৮ ইনিংসে ৩৯ দশমিক ৫৩ ব্যাটিং গড়ে ১০টি সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪৯৮১ রান করেছেন তামিম। টেস্ট ক্যারিয়ারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২ ম্যাচের ২৪ ইনিংসে ১টি সেঞ্চুরি ও ৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৮৫৩ রান করেন তামিম।
মুশফিকের পর বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তামিমের। মুশফিক-তামিমের পর বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সাকিব আল হাসানের। ৬১ টেস্টের ১১২ ইনিংসে ৪১১৩ রান আছে সাকিবের।
অ্যান্টিগা টেস্ট দিয়ে বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ। এই টেস্টের জন্য বেশ কদিন আগেই ১২ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সঙ্গে তখন বলা হয়েছিল, ফিটনেস প্রমাণ করতে পারলে ত্রয়োদশ সদস্য হিসেবে যুক্ত হবেন রোচ।
সারের হয়ে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন রোচ। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ বুধবার বিবৃতি দিয়ে জানায়, চোট থেকে পুরোপুরি সে উঠে ফিটনেস পরীক্ষায় উতরে গেছেন এই পেসার।
জেসন হোল্ডারের বিশ্রাম ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের না থাকায় ক্যারিবিয়ানদের পেস আক্রমণে এবার অভিজ্ঞতা কম। রোচও না থাকলে ২০ টেস্ট খেলা আলজারি জোসেফ হতেন দলের অভিজ্ঞতম পেসার। সঙ্গে স্কোয়াডে আছেন ৭ টেস্ট খেলা জেডেন সিলস, যার টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। এছাড়া আছেন এক টেস্ট খেলা রেমন রিফার ও অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা অ্যান্ডারসন ফিলিপ।
রোচ সেখানে ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে ৭২ টেস্ট খেলে নিয়েছেন ২৪২ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান বোলারদের মধ্যে সফলতম তিনিই। যে মাঠে প্রথম টেস্ট, অ্যান্টিগার সেই স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারও তিনিই, ৮ টেস্টে এখানে নিয়েছেন ৮৩ উইকেট।
রোচ দারুণ সফল বাংলাদেশের বিপক্ষেও। ২০০৯ সালে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেই বাংলাদেশের ব্যাটিং গুঁড়িয়ে তিনি নিয়েছিলেন ৪৮ রানে ৬ উইকেট, এখনও যা তার ক্যারিয়ার সেরা। ক্যারিবিয়ায় সবশেষ সফরে রোচের তোপেই (৮ রানে ৫ উইকেট) অ্যান্টিগায় ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
পেস আক্রমণের নেতাকে ফিট পেয়ে উচ্ছ্বসিত দলের কোচ ফিল সিমন্স।
“এটা দারুণ ব্যাপার যে, সে টেস্টের জন্য ফিট হয়েছে। তরুণদের জন্য সে সবসময়ই প্রেরণাদায়ক এবং এখন মাঠে নামতে তৈরি। প্রায় আড়াইশ টেস্ট উইকেট তার। শুধু মাঠের ভেতরে নয়, ড্রেসিং রুমেও সে যেভাবে ভূমিকা রাখে, তাকে পেয়ে আমরা খুবই খুশি। মাঠে নেমে সে যা সবচেয়ে ভালো করে, তা দেখতে মুখিয়ে আছি আমরা।”
সংবাদটি শেয়ার করুন