মোস্তফা মোহাম্মদ
হিমালয়ের কটিদেশ ছুঁয়ে দেখিনি,
বনানীর সুউচ্চ-মিনারে, সেই অপরূপা তুমি,
না-চাইতেই জল দাও, যেন একফালি বরফের ফণা;
তোমাকে ছাড়া কফির মগ জমে না,
তোমাকে দেখার পর আমি পালটে ফেলি আমার পোষাক, ঘরগেরস্থালি মনের জমিন;
কৃষিতে খাঁটি-মুমিন, দেখে নিই লাঙলের ফলা,
ধানের বীজ, সরষেদানা, সদ্যগোজানো চারাগাছ,
ফুটন্ত ফুল আর আতাফল;
পুকুরের তলদেশের খলবল, খলসে-পুঁটি-রুইমাছ,
টুনটুনি-ঘুঘু-হরিয়ালের বাসা, হাঁস-মুরগির কলরোল,
উঠানের এককোণে সযত্নে রাখা গরুর খড়ের গাদা, গোবর-বিষ্ঠা-নিমপাতার খালবাকল;
পুকুরের পাড় ধরে হেঁটে আসি তোমার শাড়ির আঁচল, ছুঁয়ে দেখি কদমগাছের ডালে বসেডাকা ঘুঘুর পালক, আর্তনাদ শুনি, তোমার করুণকণ্ঠে আমার সর্বনাশ;
কী আমি দেখছি! না-কি আমার কাঙ্ক্ষিত মেঘ নেমে আসে তোমার ছড়ানো বীজে, কর্দমাক্ত ফ্রেমে,
আমার মনের জমিনে চৈতালি-চাঁদ,
তুমি কী সেই অপরূপা প্রথম প্রেম, আমার সর্বনাশ!
বারান্দার কার্নিশে ঝুলানো সৌখিন ফ্যানে ঘুঘুর ডাক, রাত্রির অনবদ্য চুম্বন কেটে গেলে ‘পর,
মাথার উপর, চোখ খুলে চেয়ে থাকা অপূর্ব সুন্দরী চাঁদ, তুমি কী সেই মণিময় অপরূপা চাঁদ!
বাঁশির সুরে, হরিতলার মাঠে, যুবতী বটের ডাঁটে,
যাকে আমি পেয়েছিলাম করতোয়ার ঘাটে;
সংবাদটি শেয়ার করুন