এসবিএন ডেস্ক: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নানান রহস্যেঘেরা ব্যক্তি মুসা বিন শমসের বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দুদক অফিসে হাজির হন এবং দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বের হয়ে যান।
দুদকের কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মূল্যবান অলঙ্কারে সজ্জিত হয়ে প্রায় অর্ধশত দেহরক্ষী নারী-পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে দুদকে যান মুসা।
তবে দুদকের গেটে সবাইকে আটকে দিয়ে শুধু মুসা বিন শমসেরকে একা ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।
প্রশ্ন উঠেছে, মুসার দেহরক্ষী হিসেবে ভিন্ন পোশাকে সজ্জিত এই নারী-পুরুষেরাে আসলে কারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মতো তাদের কারও কারও হাতে ওয়াকিটকিও দেখা গেছে।
মুসা যতক্ষণ ভিতরে ছিলেন ততক্ষণই কালো কোট ও কালো প্যান্ট পরা এই নিরাপত্তাকর্মীদেরকে গেটের বাইরে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়।
এর আগেও আলোচিত এই ধনাড্য ব্যক্তি দুদকে এসেছিলেন, তথনও প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষকে নিয়ে তিনি দুদকে গিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে দুদকে প্রবেশ করেন মুসা বিন শমসের।
এ সময় কালো রঙের ব্লেজারের সঙ্গে তার পরনে ছিল সাদা শার্ট, লাল রঙের টাই এবং সোনালী রঙের রোলেক্সের হাতঘড়ি। পায়ের জুতা হীরায় খচিত বলে জানিয়েছেন তার কথিত দেহরক্ষীরা।
দুদকে প্রবেশ করার আগে তার সামনে ও পেছনে এক ডজন গাড়ি ছিল। ৬ জন নারী দেহরক্ষীসহ প্রায় ৫০ জনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বহর ছিল তার সঙ্গে।
বেলা ১১টায় মুসা বিন শমসেরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর মুসাকে প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদ করে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। সে সময়ও মুসা এভাবে ব্যক্তিগত বহর নিয়ে দুদকে হাজির হন। তখনও তার সহযোগীদের নিয়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড় ওঠে।
সংবাদটি শেয়ার করুন