এসবিএন ডেস্ক: বাংলাদেশে বর্তমানে এইডস রোগের আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজার। ২০১৩ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৪১ জন। জাতীয় এইচআইভি ও এসটিডি প্রোগ্রাম এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে সিরাক বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
বক্তরা বলেন, সিরিঞ্জ ও সূচের সাহায্যে মাদক গ্রহণকারী, যৌনবাহিত রোগের সংক্রমণ, দারিদ্র, অধিক জনসংখ্যা, জেন্ডার অসমতা, অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে দিন দিন এইচআইভি ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশে তুলনামুলক এইচআইভি সংক্রমণের হার কম, তবে প্রতিবেশি দেশগুলোতে এইডস রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তা বাংলাদেশের জন্যে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
জাতীয় এইচআইভি ও এসটিডি প্রোগ্রামের তথ্য অনুয়ায়ী, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এইচআইভি সংক্রমিতদের ১ হাজার ২৯৯টি কেস রেকর্ড করা হয়েছিল। এসব কেসের মধ্যে ৬৮১ জনকে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) সেবার আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৪১৫ জন পুরুষ ও ২৬৬ জন নারী।
তারা বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধির প্রধান কারণ হচ্ছে, তারা যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। এ বিষয়ে তাদের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জড়তা এবং লজ্জা-ভয়-ভীতি কাজ করে।
গবেষণা তথ্য অনুয়ায়ী, পতিতালয়, ভ্রাম্যমাণ, আবাসিক এলাকা ও হোটেল ভিত্তিক এই ৪ ধরনের যৌনকর্মী আমাদের দেশে রয়েছে। সামাজিক অবস্থা, অধিকার, শিক্ষার অভাব ও স্বাস্থ্যসেবা বিবেচনায় তাদের পরিস্থিতি নাজুক। এ পেশায় দিন দিন যে পরিমাণ কমবয়সী কিশোরীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেখা যায়, যৌনকর্মীদের মধ্যে মাত্র ৪ শতাংশের কম কনডম ব্যবহার করে। তাই যৌনবাহিত রোগে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারী যৌনকর্মীদের মধ্যে সিফিলিস সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, ইন্টারন্যাশনাল ইয়্যুথ অ্যালায়েন্স ফর ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর এসএম সৈকত, সিরাক বাংলাদেশের সহকারী পরিচালক পুলক কান্তি রায়, প্রোগ্রাম অফিসার জিসান মাহমুদসহ আরো অনেকে।
সংবাদটি শেয়ার করুন