প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁদপুরেও নৌকা প্রতীকে ভোট চাইলেন ।
চাঁদপুর স্টেডিয়ামে রোববার বিকালে এক জনসভায় তিনি আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট চাই। ভোট দেবেন কিনা দু’হাত তুলে ওয়াদা করেন।
এসময় হাজারো জনতা দু’হাত তুলে ধরে।
জনসভাস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন। এর মধ্যে ২৫টি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ২৩টি উদ্বোধন।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা আরো বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আমরা জয়ী হয়েছিলাম বলেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ছিল।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে শান্তি চাই। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখবে, সুপথে থাকবে।
আমরা চাই দেশের উন্নয়ন। আমরা খুন-খারাপি চাই না। দেশের মানুষ যেন শান্তিতে থাকে তাই চাই।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি-খালেদা জিয়াকে ধিক্কার জানাই। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যারা অভিযুক্ত তাদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছে। ওদের লজ্জা-শরম কম। ওরা তো বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বিশ্বাস করে না।
পাঁচাত্তরের পর থেকে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বাংলাদেশের উন্নতি করতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট যখনই ক্ষমতা এসেছে তখনই অত্যাচার-নির্যাতন, দেশের সম্পদ পাচার করেছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলায় তারা পারদর্শী। এটাই তাদের আন্দোলন। আন্দোলনের নামে তারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। সিএনজি, বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোনো সুস্থ মানুষ, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে? ওই খালেদা জিয়া তার অফিসে ৯২ দিন বসে হুকুম দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে।
আমরা চাই না, এভাবে আর মানুষ পুড়ে মরুক।
চাঁদপুরে মেডিকেল কলেজ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, চাঁদপুরের চার সংসদ সদস্য দীপু মনি, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
সংবাদটি শেয়ার করুন