এসবিএন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক পৌরসভা নির্বাচনের আগে বিএনপি তাদের ভুল রাজনীতির বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু দেশের জনগণ বিএনপির পক্ষে ভোট দেয়নি। কারণ, তারা অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে জড়িত ছিল। জনগণ ভবিষ্যতেও তা ভুলে যাবে না।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গতকাল শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের মতোই খালেদা জিয়াকেও রেহাই দেবে না। কারণ, তারা একই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ী।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনকারী যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য খালেদা জিয়া কোনো চেষ্টাই বাদ রাখেননি। তিনি ২০১৫ সালে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অপরাধ করেছেন।
অতীত স্বৈরশাসকদের অপশাসনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল। দীর্ঘ সংগ্রামের পর বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে সহায়ক হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া সরঞ্জাম গ্রহণ করেন। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে এসব সরঞ্জাম দেওয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের পাঠাগার ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে টুঙ্গিপাড়ার নবনির্বাচিত মেয়র গাজী গোলাম মোস্তফাও বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তাঁদের বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর তাঁরা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণকারী অন্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেও মোনাজাত করা হয়।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত রাসেল শিশুপার্ক উদ্বোধন করেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন