সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য ভাবনার অন্যতম অংশ জুড়ে আছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
তিনি যেমন বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শ্যামা সংগীত রচয়িতা, তেমনি অন্যদিকে বাংলা ইসলামী গানের প্রবর্তক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বরাবরই ছিলেন বিদ্রোহী কবির একান্ত অনুরক্ত। স্বাধীন বাংলার মাটিতে নজরুলকে এনে বঙ্গবন্ধু একটি অসামান্য দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতির পিতার আজীবনের লড়াই ছিল একটি শোষণমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার। নজরুলও এই আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আয়োজিত আলোচনা সভা, নজরুল পুরস্কার ২০১৯ ও ২০২০ প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের নবনিযুক্ত সভাপতি বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল। স্বাগত বক্তৃতা করেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সচিব মোঃ রায়হান কাওছার।
অনুষ্ঠানে নজরুল গবেষণায় ড. সৈয়দা মোতাহেরা বানু ও নজরুল সংগীতে শিল্পী ডালিয়া নওশীনকে নজরুল পুরস্কার ২০১৯ এবং নজরুল গবেষণায় ড. গুলশান আরা ও নজরুল সংগীতে শিল্পী ইয়াকুব আলী খানকে নজরুল পুরস্কার ২০২০ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্ম নিয়ে যারা নিবেদিত প্রাণ ও গবেষণা করে থাকেন সেসব গুণী ব্যক্তিদের ১৯৮৫ সাল থেকে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট প্রতি বছর পুরস্কৃত করে আসছে।
অনুষ্ঠানে একক সংগীত পরিবেশন করেন নজরুল সংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, সালাউদ্দিন আহমেদ, ছন্দা চক্রবর্তী ও শহীদ কবির পলাশ। দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের শিল্পীবৃন্দ। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যশিল্পী ওয়ার্দা রিহাব ও তার দল। আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন।
সংবাদটি শেয়ার করুন