ঢাকা ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি


নাইকো মামলায় খালেদার আত্মসমর্পণ সোমবার: আইনজীবী

abdul
প্রকাশিত নভেম্বর ২৯, ২০১৫, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ণ
নাইকো মামলায় খালেদার আত্মসমর্পণ সোমবার: আইনজীবী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নাইকো দুর্নীতি মামলায় সোমবার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

জরুরি অবস্থার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এই মামলা বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে।

খালেদার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের আদেশ অনুযায়ী সোমবার দুপুরে তিনি জজ আদালতে হাজির হবেন এবং জামিনের আবেদন করবেন।”

নাইকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে খালেদার করা আবেদন গত ১৮ জুন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। পরের বছর ৫ মে খালেদাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

এতে অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।

খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে গেলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই দুর্নীতির এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাই কোর্ট, সেই সঙ্গে দেওয়া হয় রুল।

মামলা দায়ের কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় জামিন পান খালেদা।

প্রায় সাত বছর পর চলতি বছর শুরুতে রুল নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নেয় দুদক। খালেদার আবেদনে রুলের ওপর শুনানি করে জুনে রায় দেয় হাই কোর্ট।

সে সময় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, ফৌজদারি মামলা নিয়ে রিট আবেদন চলে না বলেই বিএনপি নেত্রীর আবেদন খারিজ হয়ে গেছে।

নাইকোকে কাজ দিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি করার অভিযোগে খালেদার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও একই দিনে আরেকটি মামলা করেছিল দুদক।

আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর ২০১০ সালের মার্চে হাই কোর্ট ওই মামলা বাতিল করে দেয়। রায়ে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই মামলাটি করা হয়েছিল।

বিচারিক আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ‘বেআইনি কাজ’করেছে উল্লেখ করে উচ্চ আদালত ওই রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের বিধিমালাও সংশোধন করতে বলেছিল।

আর যারা আসামি

খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- চার দলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

September 2024
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930