ঢাকা ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি


নাগরপুরে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে সেতু ক্ষতিগ্রস্তের আশংকা

redtimes.com,bd
প্রকাশিত নভেম্বর ১৭, ২০২২, ০৪:৪৮ অপরাহ্ণ
নাগরপুরে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে সেতু ক্ষতিগ্রস্তের আশংকা
ডা.এম.এ.মান্নান নাগরপুর(টাঙ্গাইল)সংবাদদাতাঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে মির্জাপুর-নাগরপুর ভায়া মোকনা কেদারপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থিত শেখ হাসিনা সেতু (কেদারপুর সেতু)। বিগত কয়েক বছরের নদীর অব্যাহত ভাঙনে সেতুর আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের ফসলি জমি সহ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
 সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর পিলার সংলগ্ন মাটি ধসে গিয়েছে। এছাড়াও ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে নদীর কিনারে দাঁড়িয়ে আফাজ আলী বলেন, আগ্রাসী হয়ে ওঠা এই নদীর ভাঙনের হুমকীর মুখে রয়েছে আমাদের ভিটামাটি। জিও ব্যাগ ফালিয়েও ভাঙন রোধ হয়নি। প্রায় ১০০ ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখানে একটা বাঁধ নির্মাণ হলে আমরা রক্ষা পেতাম। এদিকে অবৈধ বালু উত্তোলনের জন্য সেতু ও এলাকা হুমকীর মুখে পড়েছে বলে জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রহমান জানান, এখানে নদীর পাড় ভেঙে পুরো একটি এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের জন্য নদী ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এছাড়াও সেতুর পিলারের মাটি সরে যাচ্ছে।
মোকনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের ধলেশ্বরী নদী বেষ্টিত এই কেদারপুর এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। আরো ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। আমি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নাগরপুর ইউএনও বরাবর আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, মোকনায় নদী ভাঙন রোধে প্রথম দিকে ৬,৪০০ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার পরেও ভাঙন রোধে আরো জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইল জেলা অফিস প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন মুঠোফোনে জানায়, আমরা ভাঙন জায়গা পরিদর্শন করেছি। সেখানে ভাঙনের মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। ঢেউয়ের আঘাতে নদীর পাড় ভাঙছে কিছু মাটি সরে যাচ্ছে এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেতুর পিলার থেকে মাটি সরে যাচ্ছে দেখে পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন চিন্তার কোনো কারণ নেই। তারপরও উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বাজেট হলে উন্নয়ন করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে মোকনা পংবরোটিয়া এলাকায় ভাঙন রোধে ৬ হাজার ৪০০ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়। এরপরেও অব্যাহত ভাঙনে সম্প্রতি সেতুর পিলারের মাটি সরে যাওয়া সহ ফসলি জমি,বাড়ি-ঘর বিলীন হয়েছে

সংবাদটি শেয়ার করুন

September 2024
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930