সদরুল আইনঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলা সাজা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়, এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার মাধ্যমে।
এভাবেই নেতাদের কারাগারে রেখে নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু তাদের সেই আশায় গুঁড়ে বালি, মানুষ জেগে উঠেছে। নেতাদের সাজা দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না।
শনিবার বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সাজা বহাল রেখে যে রায় হয়েছে তার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সরকারের অপকর্ম সারাবিশ্ব অবগত। এরা এই বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে।
আমেরিকার ভিসা নীতি কেনো? কই আর কোনো রাষ্ট্রের জন্য তো এই ভিসা নীতি হয়নি। কারণ, এদেশে গণতন্ত্র নেই, বাক-স্বাধীনতা নেই।
২০২৩-২৪ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বাজেটের নামে মশকরা করছে দেশের মানুষের সঙ্গে, এটা গরীব মারার বাজেট।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ৪/৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিবেন মহাসচিব।
সরকার মরণ কামড় দিবে টিকে থাকতে, আমরাও মরণ কামড় দিবো তাদের বিদায় করতে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং গ্রেফতার এবং জেলে পাঠানো হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, এটা হলো গরীব মারার বাজেট।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী, যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান (চেয়ারম্যান), মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আনম সাইফুল ইসলাম, তানভীর আহমেদ রবীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, মহানগর বিএনপির সদস্য এডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, এবিএমএ রাজ্জাক, মিরপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মতিন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দুলু, শ্যামপুর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলীম আল বারী জুয়েল, দক্ষিণ খান থানা বিএনপির আহ্বায়ক মোতালেব হোসেন রতন ও যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু, ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক ও এম আশরাফুল ইসলাম, তুরাগ থানার যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম, ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম মিয়া, মোহাম্মদপুর থানা ৩৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাসুম খান রাজেশ প্রমুখ।
সংবাদটি শেয়ার করুন