মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারে দলীয় অভ্যান্তরিণ কোন্দলের জেরে নিহত ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সাবাবের কুলখানি সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১৫ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নিহত সাবাবের ২৯ পুরাতন হাসপাতাল সড়কের বাসভবনে স্বজন, আলেম ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহনে কুলখানি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। কুলখানি অনুষ্ঠানে নিহত সাবাবের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন সবাই। এসময় ছেলে হারিয়ে বাকরুদ্ধ সাবাবের পিতা সাবেক ব্যাংক কমংকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক সহ তার স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কুলখানি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে দোয়ায় অংশ নেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব ফজলুর রহমান, মৌলভীবাজার পৌসভার সাবেক মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন, জেলা যুবলীগ সভাপতি নাহিদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ, পৌর কাউন্সিলার আয়াছ আহমদ, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী সিলেট এর উপ-পরিচালক ও সাবাবের দুলাভাই মাওলানা শাহ্ নজরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর আছাদ হোসেন মক্কু, প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলার ফয়সল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৌদ আল সুফিয়ান সাগর সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কমীরা ।
উল্লেখ্যঃ গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শহরের সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামের পিছনের নির্জন জায়গায় ছাত্রলীগের অভ্যান্তরিন কোন্দলের শিকার হয়ে দুই ছাত্রলীগ কর্মী সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহরের ২৯ পুরাতন হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা , সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকের কনিষ্ঠ পূত্র মোহাম্মদ আলী সাবাব (২২) ও দূর্লভপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে এবং মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরিক্ষার্থী নাহিদ আহমদ মাহির (১৭) কে ছুরিকাঘাত করে কুঁপিয়ে নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হয় । এঘটনার ৩ দিন পর মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে সন্তান হারা নিহত সাবাবের মা সেলিনা চৌধুরী বাদী হয়ে ৩০২/৩৪ ধারায় ১২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং (জিআর৭/৩৬৩)। এই মামলার ১২ আসামীর মধ্যে ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলার আসামীরা হলেন, পৌর এলাকার বড়হাট গ্রামের সাবেক পৌর কমিশনার প্রয়াত আকিকুল হক চৌধুরীর ছেলে আনিসুল ইসলাম তুষার (২৫) ও ধরকাপন গ্রামের আজিজুল হক বুলুর ছেলে সৈয়দ ফারদিনুল হক সৌমিক(২২) , পৌর এলাকার শমশের নগর সড়কের বাদশা মিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান (২৪), রাজনগর থানার চকিরাই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মুক্তির ছেলে আশফাকুল ইসলাম মাহদি (১৮), মহলাল গ্রামের আইয়ুব হাসানের ছেলে তামিম হাসান (২২), সদর উপজেলার মাথারকাপন গ্রামের সৈয়দ আবু জাফর আহমদের ছেলে সৈয়দ প্রথিক (২২), সনি হায়দার, হৃদয় আহমদ, ফাহিম মুনতাসির। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আরো ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন