
নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী সদর উপজেলার ককই বড়গাছা দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ঈশ্বর চন্দ্র হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে কুটক্তি করায় বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসি।
শনিবার এলাকাবাসির বিক্ষোভের মুখে প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি জরুরী সভা ডেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি জানায়, গত ১৫ই জুন ককই বড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে ১০ম শ্রেণীর কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা চলাকালিন শিক্ষার্থীরা জোরে কথা বললে, ওই বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষক ঈশ্বর চন্দ্র রায় শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমাদের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা:)ছিলেন শয়তান। তোমরাও তোমাদের নবীর মতো শয়তানী শুরু করেছো। শিক্ষকের এ ধরণের কথায় ১০ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোছাঃ সাবিকুন নাহার ও সাকিল আহমেদ প্রতিবাদ করলে তাদের শিক্ষকের রুমে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখান ওই শিক্ষক। পরীক্ষা শেষে ঘটনাটি এলাকার মানুষের মাঝে জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এলাকাবাসি ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এরই প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে এলাকার সহ¯্রাধীক মানুষ। এদিকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চলাকালীন ম্যানেজিং কমিটির জরুরী সভা ডাকেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গণপতি রায়। সভায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মানববন্ধনে ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনাটি মেনে নেওয়ার মতো নয়। আমরা ওই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচারের দাবী জানাচ্ছি সরকারের কাছে। টুপামারী ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক খলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরা শিক্ষকের গ্রেফতারসহ বিচার চাই। গ্রেফতার করা না হলে আরো কঠিন আন্দোলনে যাবো।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গণপতি রায় বলেন, ঘটনা শোনার পর ওই দিনেই শিক্ষক ইশ্বর চন্দ্র রায়কে আমার অফিসে ডেকে নিয়ে আসি। তখন সে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। শনিবার মানববন্ধন হওয়ার পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ওই শিক্ষককে।
লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। মানববন্ধনে আমিও ছিলাম, তবে ওই শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে।
সদর থানার ওসি আব্দুর রউপের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সকলকে শান্ত থাকতে বলছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।