একটি নৈশকোচ খাদে উল্টে পড়ে আটজন নিহত , আহত হয়েছে অন্তত ২৯জন।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় শনিবার রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান জানান।
দ্রুতগতির বাসটি একটি ট্রাককে অতিক্রম করতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে তা সড়কের পাশে খাদে উল্টে পড়ে বলে আহত যাত্রীরা জানিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে বাসের সুপারভাইজার অসীম মাঝি (৩৫), যাত্রী হাসান মিয়া (২৫) ও বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগদা গ্রামের মাখন বিশ্বাসের ছেলে দীপন বিশ্বাসের (২৮) পরিচয় জানা গেছে।
আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ঢাকা থেকে বরিশালগামী সুগন্ধা পরিবহনের নৈশকোচটি বিশম্ভরদী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে বাসের সুপার ভাইজারসহ ছয়জন নিহত হয়।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ২৮ জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে দীপনসহ দুইজনের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে নিহত ছয়জনের লাশ ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মীর ফাত্তার আলী বলেন, “রাত পৌনে ৩টায় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। এছাড়া আহত ২৮ জনকে উদ্ধার করে আমাদের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সে করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই।
“তাদের সেখানে রাখা হয়নি। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দেই।”
দুর্ঘটনা কবলিত বাস উদ্ধারের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
দুর্ঘটনা কবলিত বাসের যাত্রীরা জানান, দ্রুত গতির বাসটি ট্রাককে অতিক্রম করতে গিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসে ৪৫ জন যাত্রী ছিল।
সংবাদটি শেয়ার করুন