মাহমুদুন্নবী, পত্নীতলা ( নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ পত্নীতলাট নজিপুর সদর ইউনিয়নের কাঞ্চন গ্রামে গৃহপালিত পশু গর্ভবতী গরুকে বেধরক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পত্নীতলা থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গেলো ২১ মার্চ বিকেল আনুমানিক ৫ টা দিকে প্রতিদিনের মতো নিজের বসতভিটার সামনে গৃহপালিত পশুকে বেঁধে রাখেন উপজেলার কাঞ্চন গ্রামের বাসিন্দা মোঃ হযরত আলী। ঘটনার দিন হঠাৎ একটি গরু রশি ছিঁড়ে ফসলের মাঠের দিকে চলে যায়। কিছু সময় বাদে অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদীগণ পার্শ্ববর্তী পুইয়া গ্রামের মোঃ দিল্লী (৪৬) ও তার পুত্র জুয়েল রানা (২৭) গরুটিকে ধরে নিয়ে তার বাড়ির সামনে আসে। এসময় বিবাদীদ্বয় হজরত আলীর বেঁধে রাখা অন্যান্য গরুগুলোসহ মোট ৮টি গরু নিয়ে পাশের গ্রামে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। সে সময় তার গরুগুলোকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধরক মারধোর করে।
গরুগুলির মধ্যে গর্ভবতী থাকা তার দুইটি গরু মারাত্মকভাবে জখম হয়। অন্যান্য গ্রামবাসীর মাধ্যেমে ঘটনা জানতে পেয়ে তিনিসহ আরো কয়েকজন গ্রামবাসী মিলে পাশের গ্রামে বিবাদীদের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন। সেখানে পৌছুলে তারা জানতে পারেন যে, গরুগুলোকে খোয়াড়ে দেয়া হয়েছে। পরে সেখান থেকে টাকার বিনিময়ে গরুগুলোকে ছাড়িয়ে আনেন হজরত আলী। স্থানীয় উপজেলা পশু হাসপাতালে গরুগুলোর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পত্নীতলা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, আমার কাছে একটি গরু নিয়ে আসা হয়েছিল। গরুকে বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বাঁশের লাঠির আঘাতের চিহ্ন আমি পাইনি। আমার কাছে মনে হয়েছে পড়ে গিয়ে গরুর শরীরে দু এক জায়গায় ছিলে ফুঁলে গেছে। আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেব এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে । তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন