সুমন দেঃ চায়ের দেশ বলতেই আমরা বুঝি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা। সেই সাথে দেশের পর্যটন নগরি হিসেবে খ্যাত শ্রীমঙ্গল। প্রত্যেকটি ভালো কাজ এবং ভালো উদ্যোগের পেছনে বিরাট বড় ঝড় পোহাতে হয়। তেমনি এবার আমার জীবনের অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। বিভাগীয় শহরে বা সিলেটে অনেকগুলো পথশিশুদের নিয়ে স্কুল চালু আছে, ঠিক সেভাবে প্রত্যেকটি জেলা শহরেও কম-বেশি স্কুল আছে যা সমাজের কিছু সচেতন নাগরিক এগিয়ে এসে পথশিশুদের জীবনের পথ কতটা উজ্বল-তা দেখাতে পারেন। সরকারের সহায়ক কাজগুলো সমাজের সচেতন ব্যাক্তিগণ সবসময় করে থাকেন। যা অতীতেও ইতিহাস হয়ে রয়েছে ভূরি ভূরি। কিন্তু সরকারি পৃষ্টপোষকতা ছাড়া সমাজ পরিবর্তনের জন্য কিছু মানুষ পরোক্ষভাবে নিরবে কাজ করেন, যাদের রাজনৈতিক বা কোন প্রকার স্বার্থ জড়িত নয়, ননপ্রফিট উদ্যোক্তারা সমাজিক সচেতনা থেকে আমরা একবিংশ শতাব্দিতে সামাজিক প্রেক্ষাপটের ডিজিটাল স্বপ্নের পাশাপাশি ছিহ্ণমূল মানুষের জন্য এগিয়ে এসেছি। শ্রীমঙ্গলে তেমনি মজার স্কুল গড়ে ওঠে পথশিশুদের নিয়ে। যার মূল উদ্যোক্তা তাপস দাশ। যা আমার কাছে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম দেখা পথশিশুদের নিয়ে স্কুল।হয়ত আরো অনেক উপজেলায় রয়েছে যা আমার অজানা।
স্কুলটি প্রথমে চালু করে ২০১২ সালে, গ্রীনলিফ এর আয়োজনে। বছর পাঁচ চলার পর ২০১৬ সালে বন্ধ হয়ে যায় আর্থিক অনটন, জনবলের ও সঠিক নির্দিষ্ঠ স্থানের জন্যে। আবারও নতুন উদ্যামে ২০১৭ সালে জুন-জুলাইমাসে শুরু হয় স্কুলের তৎপরতা, সেই সাথে একদল উদ্যামি সাহসি জনবল। এবার আর কে ঠেকাবে! প্রয়োজন শুধু সুস্থ্য ধারার সমমনের মানসিকতার সমাজের সকল শ্রেনির মানুষের সহায়তা।
শুধু ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে গ্রুপ করে প্রায় মাস খানেক ধরে প্রতিদিন পাঠদান দেয়া হচ্ছে মজার স্কুলে। প্রায় ২০ জনের মতন স্কুলের বর্তমান ছাত্র। নতুন অবস্থায় অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে আমার আকুল আবেদন, আপনারা যে ভাবে পারেন এই স্কুলের জন্যে কিছু করবেন নিজের বিবেককে জাগ্রত করে।
সংবাদটি শেয়ার করুন