২৭শে জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:২২ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২২
মাজেদুল ইসলাম হৃদয়, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পরকিয়ায় ধরা খেয়ে শালিস বৈঠক থেকে দৌড়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে খলিলুর নামে এক বৃদ্ধের উপর। গত রবিবার (১৫ মে) উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের দক্ষিণ বিশ্রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত শনিবার (১৪ মে) সন্ধ্যার সময় বাড়ী ফাকা পেয়ে ভানোর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের পানুয়া মোহাম্মদের ছেলে খলিলুর রহমান (৪৫) । ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ বিশ্রামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বিউটির ঘরে প্রবেশ করে। পরে বিউটির স্বামী রফিকুল ইসলাম রাত ১১ টার সময় বাসায় ফিরে খলিলুর ও তার স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরে। পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলে দুইজন গ্রাম্য পুলিশ পাঠিয়ে দেয় এবং খলিলুরকে ওই ঘরে আটকে রেখে পাহাড়া দেয় দুই গ্রাম্য পুলিশ।
পরের দিন রবিবার (১৫ মে) সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ভানোর ইউনিয়নের দুই ওয়ার্ডের মেম্বার শওকত ও সইফুল ইসলাম, দুই গ্রাম্য পুলিশ স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয়রা এ ঘটনার মিমাংসা করার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা না আসায় ঝগড়া সৃষ্টি হয়। ঝগড়ায় সবাই ব্যস্ত থাকায় এ সময়কে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত খলিলুর সালিশ বৈঠক থেকে দৈাড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা মনে করছে, গ্রাম্য শালিস অমান্য করে এভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তির উঠে যাওয়া সামাজিক চরম অবক্ষয়। এটা সমাজে নৈতিকবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিউটির স্বামী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার তিন সন্তান রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ২ জন ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় ২ শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠকের পরও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। পরে অভিযুক্ত খলিলুর রহমান বৈঠক থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার ন্যায় বিচার পেতে ইউপি কার্যালয় ও থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বিউটির শাশুড়ি সমিরন বিবি বলেন, এর আগে আমি পরকিয়ার সম্পর্ক জানতে পেরে কয়েক নিষেধ করেছি। আমি বাধা দিতে গেলে আমার বউমা নানা রকম হুমকি দেয়।
অভিযুক্ত বৃদ্ধ খলিলুরের বাড়ীতে গিয়েও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত খলিলুরের বাসায় গেলে তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন বলেন, আমার স্বামী বাসায় নাই। ঘটনার সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিউটির কাছে টাকা পায় আমার স্বামী। সে টাকা আনতে গেলে আমার স্বামীকে জোর করে ঘরে ঢুকায়। তার স্বভাব চরিত্র ভাল না। মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায়ের জন্য ওই গৃহবধু এবং তার স্বামী এসব ঘটিয়েছে।
ভানোর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, খলিলুরকে আটকের পর গ্রামবাসীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমি বিষয়টি মীমাংসার জন্য বসেছিলাম। দীর্ঘ সময়ে দুপক্ষ সিদ্ধান্তে আসতে না পায় আমরা উঠে চলে আসি। পরে শুনছি খলিলুর সেখান থেকে পালিয়ে গেছে। গৃহবধুর স্বামীকে আইনী সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম জানান, এ ধরণের কোন ঘটনার অভিযোগ নিয়ে কেউ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Editor in Chief
Contact: 017111-66826
National Desk In-charge
Sumon Suddha
Contact: 01710010218
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com