তাফহীমুল আনাম:
গত ৫ মার্চ রোববার দুপুরের খাওয়া শেষ করে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রোহিঙ্গারা। হঠাৎ করেই চারদিকে আগুন আর আগুন। দিগবিদিক ছোটাছুটি।
উখিয়া বালুখালীতে তিনটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনা ঘটে। আগুনে দুই হাজার ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। বিকাল ৩টার দিকে প্রথমে ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি ও ই ব্লকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে পার্শ্ববর্তী ১০ ও ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আশ্রিত জীবনের ছোট্টো ঝুপড়িতে যা ছিলো তাও পুড়ে গেছে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই।
উখিয়ার বালুখালী ১১, ১০ ও ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প। যেখানে রোববারের অগ্নিকাণ্ডে আশ্রয় শিবিরের গৃহহারা হয়েছে ১২ হাজার রোহিঙ্গা।
৬ মার্চ সোমবার সকাল থেকে ভস্মীভূত ঘর গুলোতে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। যেখানে অপলক দৃষ্টিতে তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ পায়।
এদিকে বালুখালী ক্যাম্পে আগুন দিলো কারা এমন প্রশ্নে নিজেদের নিরাপত্তার কারনে অনেকেই কথা বলতে না চাইলেও, অনেক রোহিঙ্গা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পরিকল্পিত ভাবে আগুন দেয় ক্যাম্পে। এই সময় আমরা আগুন নিভাতে চাই গুলির ফায়ার দিয়ে হুমকি দিয়েছে। পরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী চলে যায়।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে বলে জানান উখিয়া বালুখালী ১১ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ সরওয়ার কামাল।
সোমবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর এই প্রতিনিধি। আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী ঘর তৈরি করার কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২০২১ সালেও বালুখালীর পার্শ্ববর্তী ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৪০ হাজার রোহিঙ্গার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঘটে প্রাণহানির ঘটনাও।
সংবাদটি শেয়ার করুন