১৮ই জানুয়ারি ২০২১ ইং | ৪ঠা মাঘ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
এসবিএন ডেস্ক: পাকিস্তানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীদের ধারাবাহিক গুলি ও বিস্ফোরণে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন শিক্ষক ও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার সকালে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের চারসাদ্দা শহরে বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টি যার নামে প্রতিষ্ঠিত, সেই বাচা খানের স্মরণে বুধবার সকালে ক্যাম্পাসের এক অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। এ সময় ক্যাম্পাসের দেয়াল টপে সেখানে নির্বিচারে গুলি ছুড়তে শুরু করে বন্ধুকধারীরা। এতে কমপক্ষ ২১ জন নিহত হয়েছে।
ওই অঞ্চলের পুলিশ প্রধান সাইদ ওয়াজিদ বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি সেনা সদস্যরাও কাজ করছেন। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা গেলেও বেশ কয়েকজন হামলাকারী ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করছে।
উদ্ধারকারী দলের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ৭০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পাক সেনা অভিযান শেষ হয়েছে। পাল্টা গুলিতে ছয় জঙ্গিরও মৃত্যু হয়েছে।
তবে এ হামলার দায় এখনো কোন সংগঠন স্বীকার করেনি।
২০১২ সালে আব্দুল গাফ্ফার খানের স্মৃতিতে তার নামেই তৈরী হয় পেশোয়ারের বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্দেশ্য ছিল, পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
এর আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পেশোয়ারে সামরিক বাহিনীর একটি বিদ্যালয়ে তালেবানের হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766