এসবিএন ডেস্ক:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব উঠছে সিন্ডিকেটে বৈঠকে।
সোমবার বিকালে সিন্ডিকেট সভায় প্রস্তাবটি তোলা হবে বলে সিন্ডিকেটের সভাপতি ও উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক ছাড়াও বিভিন্ন সম্পর্ক নিয়ে বৈঠকে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে এসে কী নারকীয়ভাবে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে- তা বাঙালিরা কখনো ভুলবে না।
“এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক যে শাস্তির দাবি- তা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের দাবি ও শহীদ পরিবারে দাবি।”
একাত্তরে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দোসরদের সহায়তায় এ দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে। সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সোমবার শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে জাতি।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পূর্বক্ষণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সদস্যরা।
উপাচার্য বলেন, “আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার সময় এসেছে। কারণ তারা গণহত্যা চালিয়েছে একাত্তরে, আবার সেই গণহত্যাকে অস্বীকার করছে।
“এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক থাক- তা আমরা চাই না। যাই হোক, পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সর্ম্পক ছিন্ন করার চিন্তা-ভাবনা করছি।”
এর আগে বিজয় দিবস সামনে রেখে পহেলা ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো সম্পর্ক রাখবে না ঘোষণা দিয়ে আরেফিন সিদ্দিক বলেছিলেন, “ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র-প্রতিনিধি পাকিস্তানে যাবে না।”
ওই দিন তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে সরকারের কাছে দাবি জানানোর পাশাপাশি সার্ক থেকে পাকিস্তানের সদস্যপদ বাতিল করারও আহ্বান জানান।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: [email protected]
Web Design by: SuperSoftIT.com