১০ই ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০১৬
এসবিএন ডেস্ক: এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে পাট আইন-২০১৬ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ সালে জারি করা হয়। সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুটি সামরিক শাসনামলের জারিকৃত প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ বাংলায় অনুবাদ করে আইনে পরিণত করতে এ আইন উপস্থাপন করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
এতোদিন জরিমানার বিধান ছিল না। বর্তমানে এ আইনে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন আইনটি করতে যতদূর সম্ভব আগের আইনটিকে অনুসরণ করা হয়েছে।আইনে ৩২টি ধারা রয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, এর মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন, গবেষণা ও উদ্ধুদ্ধকরণে সরকারের ক্ষমতা, পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসায়ে সরকারের ক্ষমতা, লাইসেন্স প্রদান, মূল্য নির্ধারণ, উন্নয়ন ফি আরোপ, উন্নয়ন তহবিল গঠন, চুক্তি নিবন্ধন, পাটখাড়ি হতে পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়, নিষিদ্ধকরণ ক্ষমতা, বিক্রয় নির্দেশনা প্রদান ক্ষমতা, তথ্যাদি তলবের ক্ষমতা, হিসাব বহির্ভুত মজুদ আটক করার ক্ষমতা, মিথ্যা বিবৃতি বা আইন লঙ্ঘনের দণ্ড, দায়মুক্তি ও জরিমানা ইত্যাদি।
দণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ আইন লঙ্ঘণে সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড। ৩ বছরের কারাদণ্ডের কথা অধ্যাদেশেই রয়েছে। জরিমানার কথাও ছিল তবে তার সীমা নির্দিষ্ট করা ছিল না।
প্রস্তাবিত আইনে জরিমানা ২৫ হাজার টাকা ছিল। এ অর্থ খুবই অপ্রতুল জানিয়ে মন্ত্রিসভা তা ১ লাখ করার জন্য বলেছে।
এর আগে গত বছরের ২২ জুন পাট আইন নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। তখন জানানো হয়েছিল, আইনে নতুন সংযোজন হিসেবে পাটখড়ির কথা বলা হয়েছে। পাটখড়ি থেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য উৎপাদিত পণ্য ক্রয় বিক্রয়ে তথ্য সংগ্রহ ও নিয়ন্ত্রনের বিধান রাখা হয়েছে।
আরও জানানো হয়েছিল, পাটখড়ি কেউ ঘরে ব্যববহার করলে তা আইনের আওতায় আসবে না। তবে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে, তবে সেই ব্যবসা সরকার রেগুলেট করতে পারবে। এ বিষয়ে রিসার্চ ও তথ্য সংগ্রহও করতে পারবে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com