মিউনিসিপাল গভর্নেন্স অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রজেক্ট (এমজিএসপি) ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি নাগাদ বিশ্ব ব্যাংকের (ডব্লিউবি) সহযোগিতায় পরিচালিত এই প্রকল্পের সরাসরি সুবিধাভোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮২ হাজার।
বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যমেয়াদি পর্যালোচনায় এ কথা বলা হয়েছে। প্রকল্প ২০২০ সালের জুন নাগাদ সম্পন্ন হবে। খবর বাসসের।
বিশ্ব ব্যাংকের পর্যালোচনায় বলা হয়, প্রকল্প লক্ষ্যগুলো অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বছর শেষে ১, ২ এবং ৩ উপ-প্রকল্প থেকে সেবামূলক লক্ষ্যগুলো অর্জনে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭-তে আনুমানিক প্রায় ছয় লাখ ৭৯ হাজার লোক সরাসরি লাভবান হয়েছে।
সাব-প্রকল্পগুলোর বৃহৎ অবকাঠামো বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে আগামী দুই বছরে সরাসরি সুবিধাভোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বৃদ্ধি পাবে।
বর্তমানে (চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) প্রকল্পের সরাসরি সুবিধাভোগীর সংখ্যা আট লাখ ৮২ হাজার, প্রকল্পের চূড়ান্ত লক্ষ্য অনুযায়ী সুবিধাভোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৪ লাখ ৩০ হাজারে। প্রকল্পের নারী সুবিধাভোগীর সংখ্যা লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং বর্তমানে তাদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
প্রকল্পের আওতায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি নাগাদ প্রায় ৪৪০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ অথবা সংস্কার হয়েছে, এই বছর সড়ক নির্মাণ অথবা সংস্কারের লক্ষ্যমাত্রা ৬৪০ কিলোমিটার। পাশাপাশি ২০ ফেব্রুয়ারি নাগাদ প্রায় ১১২ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার ড্রেনেজ নির্মাণ অথবা সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে, বিপরীতে ড্রেনেজ নির্মাণ ও সংস্কারের লক্ষ্যমাত্রা ৩০০ কিলোমিটার। গত ২০ ফেব্রুয়ারি নাগাদ প্রায় ২২টি আয়বর্ধক অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। প্রকল্প শেষে এই লক্ষ্যমাত্রা ৭০টি।
এমজিএসপি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩৪ শতাংশ অর্থ ছাড় করেছে। প্রকল্প শুরু হয় ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এবং প্রকল্প শেষ হবে ২০২০ সালের ৩০ জুন। প্রকল্পে মোট অর্থায়ন হচ্ছে ৪১০ মিলিয়ন ডলার। বিশ্ব ব্যাংক ইতোমধ্যেই ৩৪ শতাংশ ছাড় করেছে। যার পরিমাণ ১২৯ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ডলার। বাকি ২৫২ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলার এখনো ছাড় হয়নি।
সংবাদটি শেয়ার করুন