৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। প্রতিবেদনে সব অভিযুক্তকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ থাকলেও স্বল্প মাত্রার অবহেলার দায়ে তিন আসামীর বিরুদ্ধে স্বল্প মাত্রার সাজার আবেদন করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ায় এটি কোনো আদালতে উপস্থাপন করা যায়নি। ১১ তারিখ প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরির্দশক এস এম মনিরুজ্জামান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পুলিশ অভিযুক্ত ১১ আসামির সবাইকে এ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
অব্যাহতির সুপারিশপ্রাপ্ত অভিযুক্তরা হচ্ছেন, বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এসএ সিদ্দিক ও প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, বিমানের প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসার) নাজমুল হক, প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন, টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান ও কনিষ্ঠ টেকনিশিয়ান শাহ আলম।
পরে বিমানের ইঞ্জিনে ত্রুটির বিষয়ে তদন্ত করতে তিনটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়। সবগুলো তদন্ত প্রতিবেদনেই বলা হয়েছিল এ সমস্যা ‘মানবসৃষ্ট। মন্ত্রনালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি এ ঘটনা শ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্বে অবহেলা বা অদক্ষতা, নাকি নাশকতার চেষ্টা তা খতিয়ে দেখার জন্য ফৌজদারি মামলার সুপারিশ করে। এখন এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে পুলিশ এসবের পক্ষে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দিলো।
উল্লেখ্য, গতবছর ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী হাঙ্গেরিগামী বাংলাদেশ বিমানের একটি বোয়িং ৭৭৭ বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। ত্রুটি সারানোর পর চারঘন্টা পর ওই বিমানেই হাঙ্গেরিতে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদটি শেয়ার করুন