মাহমুদুন্নবী, পত্নীতলা ( নওগাঁ ) প্রতিনিধি:
নওগাঁয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আত্রাই নদীর ইজারা বহিভূর্ত স্থান থেকে তোলা হচ্ছে বালু। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ড্রেজিংয়ের বালু হচ্ছে হরিলুট। এতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সরকার।
বাংলা ১৪২৮ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নওগাঁর আত্রাই নদীর ধামইরহাট উপজেলার শিমলতলী হতে মহাদেবপুর উপজেলার কালনা পর্যন্ত ২৭ কি.মি. ড্রেজিং কাজ বাস্তবায়ন করেন। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হন বালুমহল ইজারাদাররা। তাদের এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৪২৯ সালে নতুন করে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে নাম মাত্র অর্থে তাদেরকেই বালু উত্তোলনের অনুমতি দেন নওগাঁ জেলা প্রশাসন। তবে সে রেজুলেশনে উল্লেখ ছিলো ১৪৩০ সালের উত্তোলিত ড্রেজিংকৃত বালু বিক্রয় বা অপসারণের ক্ষেত্রে ১৪২৮ সালের ইজারাদারগণের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য হবেনা।
কিন্তু ১৪৩০ সালের মহাদেবপুর উপজেলা ইজারাদারকে ড্রেজিংকৃত বালু উত্তোলনের নিষেধাঞ্জা দিলেও পত্নীতরা উপজেলার মাহমুদপুরে পুরোদমে চলছে এ বালু উত্তোলন। ইজারা বহিভূর্ত স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সরকার। অভিযোগ অর্থের বিনিময়ে এ অবৈধ বালু উত্তোলনের সুযোগ দিচ্ছেন খোদ প্রশাসন।
বালু উত্তোলনকারী মফিজ উদ্দীন জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকে সময় বৃদ্ধি করে আনা হয়েছে। তবে সে বিষয়ে তিনি কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
এবিষয়ে অতিরিক্ত নওগাঁ জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব ) মিল্টন চন্দ্র রায় জানান, ১৪২৮ সালে ক্ষতিগ্রস্থ ইজারাদারদের ১৪২৯ সালে নিদিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দেওয়া সাপেক্ষে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সে মেয়াদও শেষ হয়েছে এরপরও যদি কেউ ইজারা বহিভূত স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে তাহলে কতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন