রেডটাইমস নিউজ ডেক্সঃ
ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামসহ মেটার (ফেসবুক) লক্ষাধিক ব্যবহারকারী প্রাইভেসি পলিসি’র আপডেট পেয়েছেন।
মেটা জানায়, ব্যবহারকারীদের তথ্য কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সেটাকে সহজ করার জন্য এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। কেননা, ইতোপূর্বে ব্যবহারকারীর তথ্যের ব্যবহার নিয়ে সমালোচনার শিকার হয় মেটা। তবে হোয়াটসঅ্যাপ এবং আরও অন্যান্য কিছু প্ল্যাটফর্ম এই আপেডেটের বাইরে আছে।
পোস্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ
মেটা জানায়, নতুনভাবে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার এবং তা শেয়ারের ব্যাপারে পরিবর্তন এসেছে। নতুন সেটিং এ ব্যবহারকারীর পোস্ট কে দেখতে পারবে, সেটার ওপরে ব্যবহারকারীকে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে। মেটার প্রধান প্রাইভেসি অফিসার মাইকেল প্রোট্টি বলেন, ‘ভালোভাবে বলতে গেলে বিষয়টা হলো— যারা আমাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন এবং প্রকৃতপক্ষে তারা আমাদের কাছে যেটা আশা করেন।’
তিনি আরও জানান, বিশেষ করে প্রতিষ্ঠান যদি কারও অ্যাকাউন্ট বাতিল করে দেয়, তখন এর কারণ বিস্তারিতসহ আলাদা বিবরণি দেওয়া হবে। মেটা জানায়, কোনও ধরনের তৃতীয় পক্ষ কীভাবে ব্যবহারকারীর তথ্য নিচ্ছে এবং শেয়ার করছে, সেগুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জানাবে। সেইসঙ্গে জানাবে কীভাবে তথ্যগুলো তাদের বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহার করছে। নতুন এই পলিসিতে ব্যবহারকারীকে নতুন কোনও কিছুই করতে হবে না। তবে এর সঙ্গে একমত না হলে, তারা এই পরিসেবাটি ত্যাগ করতে পারেন।
মূল নিয়ন্ত্রক
বিবিসি জানায়, পরিবর্তনটি কার্যকর হবে জুলাই এর ২৬ তারিখ থেকে। মেটা জানায়, তারা চেষ্টা করেছে পলিসির জটিলতাকে সহজ করে আনার জন্য। এটা মূলত প্রাইভেসি আইনকে আরও ব্যাপক করার জন্য এবং নিয়ন্ত্রকদের এমটা চাহিদাও ছিল। নিয়ন্ত্রকদের দাবি ছিল, ব্যবহারকারীদের উপাত্তকে নিরাপদ করা এবং নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণকে আরও শক্তিলালী করা। যার কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ইউরোপীয় প্রাইভেসি আইন ২০১৮ অনুযায়ী, তথ্য বেহাত হওয়ার কারণে ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা দিতে হয়।
দায়িত্ব হস্তান্তর
‘টেকনোলজি ইজ নট নিউট্রল’ এর লেখক স্টিফেন হারে বলেন, ‘মেটা প্রযুক্তিকে বাস্তব রাজনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয় হলো বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই এটাকে গ্রহণ করছে। এই ঘোষণাটি মূলত পূজিবাদের নজরদারীর সমালোচনাকে প্রশমিত করবে।’
সংবাদটি শেয়ার করুন