১৪ জানুয়ারি রোববার বিটিআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শাহজাহান মাহমুদ জানান, ফোরজি লাইসেন্স পাওয়ার দিন থেকে ৩৬ মাসের মধ্যে সকল জেলা শহরে মোবাইল অপারেটরদের ফোরজি সেবা দিতে হবে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
তিনি জানান, যেদিন ফোরজি লাইসেন্স প্রদান করা হবে, সেদিন থেকে ৯ মাসের মধ্যে সকল বিভাগীয় শহরে, ১৮ মাসের মধ্যে ৩০ শতাংশ জেলা শহরে এবং ৩৬ মাসের মধ্যে সকল জেলা শহরে ফোরজি সেবা প্রদান করতে হবে।
শাহজাহান মাহমুদ আরও জানান, চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা ফোরজি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে টেলিটক, গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও সিটিসেল। তরঙ্গ নিলাম করা হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি এবং লাইসেন্স প্রদান করা হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। ‘এ ছাড়া ২১০০/১৮০০/৯০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম নিলামের জন্য আবেদন করেছে চারটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সিটিসেল, বাংলালিংক, গ্রামীণফোন এবং রবি’।
এর আগে রোববার ফোরজি লাইসেন্সিং গাইডলাইন ও তরঙ্গ নিলামের জন্য আবেদন আহ্বান করে বিটিআরসির জারি করা বিজ্ঞপ্তি নিয়ে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ বিষয়ে জারি করা রুল ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আপিল বিভাগের সর্বশেষ আদেশের ফলে ফোরজি নিলামে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে বাংলা লায়নের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।টেলিযোগাযোগ বিভাগ ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর ফোরজি সেবার লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলামের নীতিমালা হাতে পায়। এরপর ৪ ডিসেম্বর বিটিআরসি ফোর জি লাইসেন্সের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে তরঙ্গ নিলামের জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে আগ্রহীদের ফোরজি সেবার লাইসেন্সের আবেদন জমা দিতে বলা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলা লায়ন কমিউনিকেশনস লিমিটেড ১০ জানুয়ারি বুধবার হাইকোর্টে রিট করে। রিটে অভিযোগ করা হয়, ২০০৮ সালের ব্রডব্যান্ড নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
রিটের প্রাথমিক শুনানির পর ১১ জানুয়ারি বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিটিআরসির দেওয়া বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করে। ওই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করলে বিকেলেই তা আটকে দেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের চেম্বার আদালত এবং পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।
রোববার পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিতের আদেশ দেন আপিল বিভাগ এবং এ বিষয়ে জারি করা রুল ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।
সংবাদটি শেয়ার করুন