শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বছরের প্রথমদিনেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে এক অনন্য উদাহরন সৃষ্টি করেছে। এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ বিশ্বে অতুলনীয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু হয়। এ কার্যক্রম সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছে। ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মোট ২৬০ কোটি ৮৫ লাখ ৯১ হাজার ২৯০টি বই বিতরণ করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আজ ঢাকায় আজিমপুর গবর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে পাঠ্যপুস্তক উৎসব ২০১৮-এর কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৬ হাজার ৮৯৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই বিতরণ করা হচ্ছে। এই বিপুল পরিমান বই ছাপা ও স্কুলে পৌঁছে দেয়ার কাজে প্রায় ৯৮ হাজার জনবল কাজ করেছে। নতুন বই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য নববর্ষের উপহার উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সকল শিশুকে স্কুলে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। নতুন বই শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রেরণা ও উৎসাহ সৃষ্টি করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক স্তরের এক কোটি ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১৮ কোটি ৭৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯২১টি বই বিতরণ করা হবে। প্রাথমিক স্তরে ২ (দুই) কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১০ কোটি ৩৬ লাখ ২৪ হাজার ৪০৫টি বই বিতরণ করা হবে। এছাড়াও প্রাক-প্রাথমিকের ৩৪ লাখ ১১ হাজার ১৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৬৪৮টি বই ছাপা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৫৮ হাজার ২৫৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য পাঁচটি ভাষায় এক লাখ ৪৯ হাজার ২৭৬টি বই ছাপা হয়েছে। এছাড়াও ৯৬৩ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য ৮ হাজার ৪০৫টি ব্রেইল বই বিতরণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমান এবং পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বক্তৃতা করেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন