২৮শে জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২২
নিউজ ডেস্ক:
পটুয়াখালী ও বরগুনায় শুরুতে হতে যাওয়া ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’ বাংলাদেশের সর্বশেষ ভূমি জরিপ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবন মিলনায়তনে ডাকযোগে ভূমিসেবা, ভূমিসেবায় ডিজিটাল পেমেন্ট এবং কল সেন্টারের মাধ্যমে ভূমিসেবা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন এমপি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের Land Management Domain Specialist সাবেক মুখ্য সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এসময় ভূমিমন্ত্রী বলেন, পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশন হবার সাথে সাথে সারা দেশে ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’ সম্পন্ন হয়ে গেলে নতুন ভূমি কিংবা জেগে ওঠা চর ছাড়া পরবর্তীতে আর ভূমি জরিপের (জরিপ বলতে এখানে ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ প্রয়োজন হবেনা। ভূমি হাত বদলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খতিয়ান ও ম্যাপ প্রস্তুত হয়ে যাবে, ফলে যুগযুগ ধরে জরিপের হয়রানি থেকে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ জনসেবা পদক পেয়েছে উল্লেখ করে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় আজ সরকারের অন্যতম উন্নয়ন ও গতিশীল মন্ত্রণালয়। ভূমি মানুষের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভূমিসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছতে পারাই আমাদের লক্ষ্য।
ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন ছাড়াও আইন ও বিধি সংশোধন হচ্ছে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, হাট ও বাজার আইনের আওতায় ভূমিগুলোতে স্থানীয় পৌরসভার সাথে যৌথভাবে উন্নয়ন কাজ করা হবে।
এখন থেকে ১৬১২২ নম্বরে ফোন করেই খতিয়ান ও ম্যাপের আবেদন করতে পারবেন ভূমি মালিক। এছাড়া জমির মালিক খতিয়ান ও নামজারি ফি এবং ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে প্রদান করতে পারবে। সেই সাথে ডাকযোগে খতিয়ান (পর্চা)/জমির ম্যাপ নিজ ঠিকানায় নিতে পারবেন।
আজকের উদ্বোধনকৃত সেবামূহের ফলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ হ্রাস পাবে এবং ই-পর্চা, ই-রেজিস্ট্রেশন, এলডি ট্যাক্স সিস্টেম, ভার্চুয়াল শুনানি সিস্টেমের সাথে ইন্টিগ্রেশন হবে।
এছাড়া, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে তাৎক্ষনিক ফি জমা প্রদান করার সুযোগ এবং ভূমি অফিসে না গিয়েই অনলাইনে ডিসিআর সংগ্রহ করার সুযোগ সৃষ্টি হলো নাগরিকের। এতে মানুষের অর্থ-খরচ ও ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে।
ভূমিসচিব জানান, ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ হোল্টিং এন্ট্রি হয়ে গিয়েছে। প্রায় দেড় কোটি মানুষ অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছে ১২ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে আদায়। ১ লক্ষ ৩৯ হাজার মৌজা ম্যাপ ডিজিটালাইজেশন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ কোটি ১২ লক্ষ ডাটা ডিজিটাল রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে এন্ট্রি করা হয়েছে। ডিজিটাল মৌজা ম্যাপ ও মালিকানার তথ্য আত্তীকরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানস্থলে দুইজন নাগরিক সরাসরি ভূমি সেবা গ্রহণ করেন। একজন ১৬১২২ নম্বরে কল করে খতিয়ান এবং ইউডিসি-এর মাধ্যমে অপরজন জমির মৌজা ম্যাপের আবেদন করেন।
জরিপ বলতে এখানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ বোঝানো হয়েছে।
Editor in Chief
Contact: 017111-66826
National Desk In-charge
Sumon Suddha
Contact: 01710010218
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com