৯ই মার্চ ২০২১ ইং | ২৪শে ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০১৮
জাতীয় বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দের শতকরা ৪০ ভাগ কৃষি খাতে বরাদ্দ, প্রতি ইউনিয়নে ক্রয়কেন্দ্র খুলে সরকারি উদ্যোগে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ফসল ক্রয়, ক্ষেতমজুরদের সারা বছর কাজ ও গ্রামীণ রেশনিং চালু, ভিজিডি, ভিজিএফ, ১০০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পসহ সকল গ্রামীণ প্রকল্পে দুর্নীতি, দলীয়করণসহ ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের উদ্যোগে আজ ৪ জুন ২০১৮ দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন-সমাবেশ শেষে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক নিখিল দাসের সঞ্চলায় মানব বন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জুলফিকার আলী ও রাহাত আহমেদ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। মোট গ্রামীণ শ্রমশক্তির শতকরা ৬০ ভাগের বেশি কৃষিতে নিয়োজিত। জিডিপির প্রায় ১৬% আসে কৃষি থেকে। অথচ কৃষক-কৃষি-ক্ষেতমজুর-ভূমিহীন গ্রামীণ জনগণ আজ নানামুখী সংকটে জর্জরিত। একদিকে সার, বীজ, কীটনাশক, ডিজেল-বিদ্যুতের দাম ক্রশত বাড়ছে। অন্যদিকে অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এই সকল কৃষি উপকরণে দিচ্ছে ভেজাল। জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন বরাদ্দের ৪০% কৃষি খাতে বরাদ্দের দাবি উপেক্ষিত। ২০১২-১৩ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৮.৪ শতাংশ। অথচ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বরাদ্দ কমে হয় ৩.২ শতাংশ। অর্থাৎ দিন দিন বরাদ্দ কমছে। কৃষিতে ভর্তুকীও কমছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষি খাতে ভর্তুকী ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও সংশোধনী বাজেটে তা কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার কোটি টাকা। অথচ সরকার নিজেকে কৃষি বান্ধব সরকার বলছে। এটি বেশ হাস্যকর ব্যাপার। এবার দেশে ধানের বাম্পার ফলন ঘটিয়েছে কৃষক। অথচ কৃষক ধানের দাম পাচ্ছে না সরকার মনপ্রতি ১০৪০ টাকা নির্ধারণ করলেও প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় কৃষক বিক্রি করতে পারছে না।
কৃষক ধান বিক্রি করে আর চাল বিক্রি চাতাল মালিক। অথচ সরকার নির্ধারণ করেছে দেড় লক্ষ টন ধান ও ৯ লক্ষ টন চাল কিনবে। এই দেড় লক্ষ টনের মধ্যে বর্তমানে কিনবে মাত্র ১৫ হাজার টন। কারণ হিসেবে সরকার বলছে গুদাম খালি নেই। অর্থাৎ সরকারের কৃষি পরিকল্পনা কৃষক বান্ধব নয়। গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য রেশনিং ব্যবস্থা নেই। গ্রামীণ প্রকল্পগুলো দলীয়করণ ও দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ।
নেতৃবৃন্দ জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন বরাদ্দের শতকরা ৪০ ভাগ কৃষি খাতে বরাদ্দের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান এবং সমাবেশ ও মিছিল পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766