১লা জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০২৩
রেডটাইমস ডেস্ক :
আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলেও ঘটনা সত্যি। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় কলা গাছের তন্তু থেকে তৈরি হলো দৃষ্টিনন্দন শাড়ি! কলা গাছের তন্তু( আঁশ) থেকে সুতা ও শাড়ি তৈরির ঘটনা বাংলাদেশে সম্ভবত বান্দরবানে এই প্রথম। এই শাড়ি তৈরির মূল কারিগর মৌলভীবাজারের রাধাবতী দেবী। যিনি বান্দরবানে এসে এ শাড়িটি বুনে দিয়েছেন।
এর মাধ্যমে পাহাড়ে প্রচুর পরিমাণে জন্মানো কলাগাছকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হলো। যা এতোদিন ফল সংগ্রহের পর কেটে ফেলে দেয়া হতো। এর ফলে পাহাড়ী জনপদে নতুন কর্মসংস্থান হবে। অসচ্ছল পরিবার গুলো হবে স্বাবলম্বী ।
মণিপুরী কারিগর রাধাবতী দেবী বলেন, জীবনে অনেক রকমের শাড়ি তৈরি করেছি। কিন্তু কলা গাছের আঁশের সুতায় প্রথম শাড়ি তৈরি করলাম। জেলা প্রশাসকের আমন্ত্রণে মৌলভীবাজার থেকে বান্দরবান এসেছিলাম শাড়ি তৈরির চ্যালেঞ্জ নিয়ে। পরীক্ষামূলকভাবে ১৫ দিনের চেষ্টায় একটি শাড়ি তৈরি করতে পেরেছি। পাতলা আঁশের সুতায় কাপড় বোনা সত্যিই কষ্টসাধ্য। একটা সময় মনে হয়েছিল সম্ভব নয়, কিন্তু শেষপর্যন্ত সফলভাবে শাড়ি তৈরি করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি।
তিনি বলেন,গত ১২ মার্চ মৌলভীবাজার থেকে আমিসহ দুজন বান্দরবান এসেছিলাম। প্রথমদিকে আঁশ থেকে সুতা তৈরি করা, সুতাগুলো প্রক্রিয়া করাসহ জিনিসপত্র গোছাতেই ৮ দিন লেগে যায়। শাড়ির কাপড় বুনতে সময় লেগেছে ৭ দিন। আগামীতে সব জিনিসপত্র ঠিকঠাক থাকলে একদিনেই মেশিনে একসঙ্গে তিনটি শাড়ি তৈরি করা যাবে। ধাপে ধাপে এ সংখ্যা বাড়বে। সাধারণ একটা শাড়ি বুনতে পাঁচশ গ্রাম সুতা লাগলেও কলাগাছের আঁশের সুতায় প্রথম শাড়িটি বুনতে এক কেজির মতো সুতা লেগেছে।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, অত্যন্ত আনন্দ ও তৃপ্তির সাথে জানাচ্ছি যে, কলা গাছের তন্তু থেকে সফল ভাবে শাড়ী তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। আমি জানি না বাংলাদেশের আর কোথাও এখনো পর্যন্ত কলা গাছের সুতা থেকে কেউ শাড়ী তৈরি করেছেন কিনা! যদি না করে থাকেন তবে এটিই হবে কলাগাছের সুতার প্রথম শাড়ী। আর যদি কোথাও তৈরি হয়ে থাকে যে কেউ জানলে ছবিসহ জানাতে পারেন।’
উল্লেখ্য, জেলাপ্রশাসকের আহবানে সাড়া দিয়ে রাধাবতী দেবী এ শাড়ীটি বুনে দিয়েছেন।মৌলভীবাজারে তাঁর এলাকায় যারা মনিপুরী শাড়ী বুনেন তাঁরা রাধাবতীকে বলেছিলেন এ দায়িত্ব না নিতে। কারণ তাঁরা ভয় পাচ্ছিলেন তিনি ব্যর্থ হবেন এবং জেলা প্রশাসকের কাছে কথা দিয়ে তা বাস্তবায়ন না করতে পারার কারণে মনিপুরী তাঁত শিল্পীরা ছোট হবেন। রাধাবতী দেবী এ চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন ও সফল হয়েছেন।!//////
S | M | T | W | T | F | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | ||||
4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 |
11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 17 |
18 | 19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 24 |
25 | 26 | 27 | 28 | 29 | 30 |
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com