সদরুল আইনঃ
১০ ডিসেম্বর আসতে বাকি এখনো পাঁচদিন। ওই দিন ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। সারাদেশে থেকে লোক ঢাকায় এনে গণজমায়েত করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।
এর মধ্য দিয়ে সরকারকে একটি বার্তা দিতে চায় বিএনপি। নিজেদের জনপ্রিয় প্রমাণ করতে চায় তারা। ইতোমধ্যে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আদেবন করলে জনস্বার্থে অনুমতি পায়নি বিএনপি। সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়া হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে।
কিন্তু সেখানে সমাবেশ করতে নারাজ বিএনপি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি এবং ডিএমপির মধ্যে এক ধরনের ত্রিমূখী লড়াই চলছে।
বিএনপির নেতারা বলেন, তারা যেকোনো মূল্যেই নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে। কোনো ভাবেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে যাবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে অনুমোদিত স্থলেই বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে। নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ব্যাপারে বিএনপির অনড় অবস্থানের জন্য ১০ ডিসেম্বর দলটির সমাবেশের আসল উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনকে সরকারের ফাঁদ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে বিএনপি।
এদিকে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যোন ছাড়া নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বিএনপিকে। এর ব্যত্যয় ঘটলে বিএনপিকে আইনের আওতায় আনা হবে। এমন পরিস্থিতি সারাদেশ ব্যাপী এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের মুখে মুখে প্রশ্ন কি হতে যাচ্ছে আগামী ১০ ডিসেম্বর। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম কথাবার্তার ডাল পালা ছড়িয়ে। বিশেষ করে মহাসমাবেশের মতো কর্মসূচি বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে না করে নয়াপল্টনেই করতে কেন অনড় রয়েছে। তাহলে কি বিএনপি সেদিন কোনো ধরনের নাশকতা করতে চায়?
তবে সমস্ত আশঙ্কায় জল ঢাললো বিএনপির গতকালের জরুরী সংবাদ সন্মেলন। সংবাদ সন্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সমাবেশের বিকল্প স্থানের প্রস্তাব পেলে তারা ভেবে দেখবে। গতকালই বিকেলে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সাথে দেখা করেছে। জানা গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ নদীর তীর ব্যতীত রাজধানীতে বিকল্প প্রস্তাব দিলে বিবেচনা করবে বিএনপি।
তবে হঠাৎ বিএনপির পিছু টানকে কেউ কেউ দলটির কৌশল মনে করছেন। তারা বলছেন যে, বিএনপি বিকল্প স্থানের প্রস্তাবের কথা ভেবে দেখা কথা বললেও শেষ পর্যন্ত নয়াপল্টনেই হয়তো সমাবেশ করবে। এখন তাদের অবস্থান পরিবর্তন করার কথা ভাবছে মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে।
গত কয়েক দিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে তৎপরতা শুরু করেছে তাতে বিএনপি কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর নজর ভিন্ন খাতে নিতেই বিএনপি তাদের বিবেচনার কথা বলছে। আবার কোন কোন মহল মনে করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর সতর্ক অবস্থানের কারণে বিএনপির পূর্ব পরিকল্পনা আসলে ভেস্তে যেতে বসেছে। এখন দেখা বিষয় বিএনপি শেষ পর্যন্ত তাদের অবস্থান থেকে সরে আসে কিনা।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium, Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: [email protected]
Web Design by: SuperSoftIT.com