১৮ই এপ্রিল ২০২১ ইং | ৫ই বৈশাখ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫
এসবিএন ডেস্ক:
চলতি বছর বিশ্বজুড়ে অভিবাসীর সংখ্যা ৬ কোটি ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যানের কথা জানায় সংস্থাটি। এর মধ্যে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীর সংখ্যাই দুই কোটি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। সামনের বছরগুলোতে এই সংখ্যা আরো বাড়তে বলে আশঙ্কা জাতিসংঘের।
জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক কমিশন জানায়, ১৯৯২ সালের পর থেকে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ২ কোটিরও বেশি। আর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে জার্মানি, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে।
সংস্থাটির হিসেবে ২০১৪ সালে বিশ্বজুড়ে অভিবাসীর সংখ্যা ছিলো ৫ কোটি ৯৫ লাখ। কিন্তু এ বছর বেড়ে সেটা ৬ কোটিরও বেশি। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি ১২২ জনের একজন দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছে।
বছরের মাঝামাঝি পর্যায়ে ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ দেশত্যাগ করে। আগের বছরের তুলনায় যার সংখ্যা ২০ লাখ বেশি।
জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক কমিশনের এন্টোনিও গুটেরাস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এবছরই মানবজাতির মাঝে সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রয়োজন। কারণ অনেকেই আজ ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নত দেশগুলো এখনও সবচেয়ে বেশি অভিবাসীদের আশ্রয় দিয়েছে। ২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার যুদ্ধের কারণে অনেক সিরিয়াবাসী দেশত্যাগ করে এবং একারণেই অভিবাসীদের স্রোত এতো বেশি।
এছাড়া আফগানিস্তান, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদানের সহিংস ঘটনার কারণেই অনেকে দেশত্যাগ করেছেন। বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো এবং ইরাকেও অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। এই যুদ্ধগুলোর কারণেই মূলত বিশ্বজুড়ে অভিবাসীর সংখ্যা এত বেশি বলে জানায় জাতিসংঘ।
সামনের বছরগুলোতে এই সংখ্যা আরো বাড়তে বলে আশঙ্কা জাতিসংঘের। আর একবার দেশত্যাগ করলে ঘরে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766