৩রা মার্চ ২০২১ ইং | ১৮ই ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
বিশ্বনন্দিত কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন ।বিশ্বের বহু দেশে বহু ভাষায় তার কবিতা অনূদিত হয়েছে । বাংলা কবিতাকে তিনি অন্য ভাষার পাঠকদের হাতে তুলে ধরেছেন । সম্পাদনা করেছেন বিশ শতকের কবিতা । আমেরিকা থেকে অনেক বছর ধরে প্রকাশ করছেন দ্বিভাষিক সাহিত্য সংকলন – শব্দগুচ্ছ । বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের টানে তিনি প্রায় প্রতিবছর বইমেলায় বাংলাদেশে আসেন ।এবারে ও এসেছেন গত রোববারে । এক সপ্তাহের জন্য ।চলে যাবেন আবার আগা্মী কাল । তিনি রেডটাইমসকে জানিয়েছেন এবারের মেলায় কিছু অভিজ্ঞতার কথা । হাসান বলেন , বাংলা একাডেমির পক্ষে আমাকে কল করেছিলেন স্বকৃত নোমান। তিনি ২৪ তারিখ মেলার ‘লেখক বলছি’ মঞ্চে আমাকে একাডেমির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানালে বিনীত ভাবে বলি যে চব্বিশ তারিখ আমি নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে বিমানপথে থাকবো। সে ক্ষেত্রে একাডেমি যদি ২২ বা ২৩ তারিখে সময় দেয়, আমি বাধিত হবো। সেই সুযোগ নেই বলে তিনি আমাকে জানান ।তিনি বলেন ওই দু’দিন যাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে তাদেরকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। অতএব নির্ধারিত সময়ের বাইরে আমার লেখক মঞ্চে যাবার বা তারিখ আগুপিছু করার সুযোগ একাডেমির নেই। আমি ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত বইমেলায় অংশ নিয়ে আসছি, এ পর্যন্ত একাডেমি আমাকে কখনোই মূল মঞ্চে কবিতাপাঠ বা কবিতা বিষয়ক কোনো আয়োজনে ডাকেনি, ফলত ‘লেখক বলছি’ যদিও মূল মঞ্চ থেকে আলাদা, তথাপি আমন্ত্রণ পেয়ে নিজেকে লেখক ভাবার একটি সুযোগ আমার হয়েছিলো, কিন্তু আমার জন্যেই সেই সুযোগ থেকে আমি বঞ্চিত হলাম। তবে, অত্যন্ত ভালো লাগছে একাডেমির নিয়মানুবর্তিতার এই সফল প্রয়োগ দেখে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নেবার যে শপথ নিয়েছেন, সেই দিক নির্দশনা যে বাংলা একাডেমী ইতিমধ্যে অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে তা দেখে আমার মতো একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের আহ্লাদিত হবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। পৃথিবীর সব দেশে বাংলাদেশের উজ্জ্বল পতাকাটি উড়ুক, দেশ সন্ত্রাসমুক্ত হোক, তোষামোদিদের গ্রাস থেকে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান মুক্ত হোক সেটাতো আমিও মনে প্রাণে চাই। চীন কবিতা উৎসবে আমি ২২ জাতীর পতাকার সামনে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরতে পেরেছি, আমাকে কবিতায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘হোমার মেডেল’ দিতে হাজার হাজার বিদেশীদের সামনে মঞ্চ থেকে একাধিকবার বাংলাদেশের নামটি উচ্চারিত হয়েছে, আগামী এপ্রিলে বারো জাতির অংশগ্রহণে গ্রিসে অনুষ্ঠিতব্য কবিতা উৎসবে আমি বাংলাদেশের পতাকা বহন করবো, এ দেশের কবিতাকে তুলে ধরার সুযোগ পাবো, নিউইয়র্কের বিংহামটন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি আমেরিকার পতাকার উপরে এই কবিতার জন্যেই তো বাংলাদেশের পতাকা স্থান পেয়েছিলো। এই প্রথম নিউইয়র্ক কালচারাল এফেয়ার্সের গ্রান্ট অনুদানে প্রকাশ পাচ্ছে আমার অনুবাদে “সমকালীন বাংলাদেশের কবিতা”র ইংরেজী সংকলন। এইসব কাজের মাধ্যমে আমি তো আমার বাবার রক্তে, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে স্বাধীন হওয়া প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশকেই তুলে ধরতে চাই। আর এই দেশের সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চার মূল কেন্দ্র বাংলা একাডেমি, তাকে তোষামোদ মুক্ত হয়ে, সাহিত্যক সন্ত্রাসীদের হটিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে চলতে দেখলে আমিও খুশি হই। তার জন্যে নিজেকে লেখক ভাবার প্রক্রিয়া না হয় আরেকটু দীর্ঘায়িতই হলো!
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766