৭ই ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
এসবিএন ডেস্ক: মাত্র ৬২ জন ধনকুবেরের হাতে যে পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ আছে, তা পৃথিবীর অর্ধেক জনসংখ্যার সম্মিলিত ধনসম্পদের সমান।
এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সফ্যাম।
সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের ঠিক আগে প্রকাশ করা এক রিপোর্টে সংস্থাটি আরও বলেছে, বিশ্বের ‘সুপাররিচ’রা ধনী থেকে আরও ধনী হচ্ছেন। অথচ গরিবরা আরও বেশি দারিদ্র্যে ডুবে যাচ্ছেন।
যেমন- পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ৬২জন ধনকুবেরের মোট সম্পদের পরিমাণ ২০১০ সালের তুলনায় বেড়েছে ৪৪ শতাংশ।
বিপরীতে, পৃথিবীর অর্ধেক জনসংখ্যা- যার মধ্যে আছে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি লোক, তাদের ধনসম্পত্তির পরিমাণ একই সময়ের মধ্যে কমেছে ৪১ শতাংশ।
বিশ্বের এই ৬২জন ‘সুপাররিচের’ প্রায় অর্ধেকই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা, ১৭জন আবার ইউরোপিয়ান। বাকি ধনকুবেরদের বেশির ভাগই চীন, মেক্সিকো, জাপান, সৌদি আরব বা ব্রাজিলের লোক।
অক্সফ্যাম এই পরিসংখ্যান দিয়ে দাবি করেছে, পৃথিবীতে যে ক্রমেই আরও অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে এই রিপোর্ট তারই প্রমাণ।
অক্সফ্যাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী অধিকর্তা উইনি বায়ানিমা বলছেন, ‘এই বৈষম্যর ফলে যে সংকট তৈরি হচ্ছে বিশ্বনেতারা তার জন্য উদ্বিগ্ন ঠিকই, কিন্তু এখনো তাদের কাছ থেকে এর মোকাবিলায় কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ কিন্তু আমরা পাইনি।’
পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষকে অভুক্ত রেখে সমাজের একটা মুষ্টিমেয় অংশ পৃথিবীর সব ধনসম্পদ শুষে নেবে- এটা কিছুতেই হতে দেয়া যায় না বলেও অক্সফ্যাম মন্তব্য করেছে।
অর্থনীতিবিদ গ্যাব্রিয়েল জুকমানের তথ্যকে উদ্ধৃত করে তারা আরও জানিয়েছে, গোটা আফ্রিকা মহাদেশের আর্থিক সম্পদের ৩০ শতাংশই পৃথিবীর বিভিন্ন অফশোর ট্যাক্স হাভেনে গচ্ছিত রাখা আছে।
এর ফলে আফ্রিকা প্রতি বছর ১৪০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ কর রাজস্ব হারাচ্ছে। অথচ আফ্রিকা এই অর্থটা পেলে ওই মহাদেশে প্রতি বছর ৪০ লাখ শিশুকে সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে তাদের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হতো।
শুধু তাই নয়, ওই অর্থ দিয়ে আফ্রিকায় যথেষ্ট পরিমাণে শিক্ষকও নিয়োগ করা যেত, যাতে মহাদেশের প্রতিটি শিশুরই স্কুলে যাওয়ার স্বপ্ন পূর্ণ করা যেত।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com