২৯শে নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০১৬
এসবিএন ডেস্ক: টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুক্রবার শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার ৫০তম আসর। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সফলভাবে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। এজন্য আমি মহান আল্লাহর দরবারে জানাই লাখো শুকরিয়া।
তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের সুমহান আদর্শ সমগ্র মানবজাতির চলার পথের পাথেয়। আমরা ইসলামের সঠিক আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে সামগ্রিক কল্যাণ অর্জন করতে পারি। বিশ্ব ইজতেমায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসল্লিদের সঙ্গে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের যে ভ্রাতৃত্বপুর্ণ মহা সম্মিলন ঘটে, তাতে ইসলামকে আরো বেশী করে জানার ও বুঝার পথ অনেক সুগম হয়। মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞ আলেমদের আলোচনা হতে মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা পাওয়া যায়। বিশ্ব ইজতেমা ইসলামী উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ়করণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং বিশ্বের সকল মুসলমানকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এই বিশ্ব ইজতেমা ইসলামের মর্মবাণী প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, ইজতেমায় আগত বিদেশী মেহমানদের মাধ্যমে আবহমানকাল ধরে আমাদের লালিত অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অকৃত্রিম সরলতা ও অতিথিপরায়ণতা এবং সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাবে।
আমি আশা করি, এ মহান ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে। দেশ ও বিদেশের সর্বস্তরের মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে বিশ্বাস করি। ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিকতা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য মহান আল্লাহ পাকের কৃপা কামনা করি।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com