৪ঠা মার্চ ২০২১ ইং | ১৯শে ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০১৬
সিলেট বাংলা নিউজ ডেস্কঃ জীবন বীমা কোম্পানির কাছ থেকে ১ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার লোভে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করেছেন এক মার্কিনী।
নির্মম, নিষ্ঠুর এই ঘটনা ঘটেছে পেনসিলভানিয়ার বীবর কাউন্টির সেন্টার টাউনশিপে। তবে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্টিভেন লিন্ডসে নামে যুক্তরাষ্ট্রের ওই নাগরিক। এদিকে যথাযথভাবে কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারায় বীমা দাবি নাকচ করে দিয়েছে জীবন বীমা কোম্পানি মেটলাইফ।
স্টিভেন লিন্ডসের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি স্টিভেন তার ২৩ বছর বয়সী স্ত্রী মেলিন্ডা লিন্ডসের মাথায় গুলি করে হত্যা করেন।
এসময় মেলিন্ডা সেন্টার টাউনশিপে তাদের ১৪৯ নম্বর বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। তবে স্টিভেন লিন্ডসে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা অস্বীকার করেছেন।আর এ ঘটনাকে তিনি বাড়িতে সহিংস হামলার শিকার বলে দাবি করেছেন।
স্টিভেন আরো জানান, তার ওপর যখন আক্রমন করা হয় তখন তিনি তার দু’বছর বয়সী মেয়ের বেডরুমে একটি পালঙ্কের ওপর ঘুমিয়ে ছিলেন।
একারণে তিনি অসচেতন এবং আবদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। তবে গুলির শব্দ পেয়ে তিনি জেগে ওঠেন এবং বুঝতে পারেন যে, কেউ তাদের বেডরুমে তার স্ত্রীকে গুলি করছেন।
বীমা কোম্পানি মেটলাইফ’র তদন্তকারি গ্রেগ মিরাবেল্লি জানান, বীমা দাবির জন্য কাগজপত্র স্টিভেনের কাছে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তিনি তা কখনো সম্পন্ন করতে পারেননি। পরে চিকিৎসা ইস্যুতে একটি মিথ্যা বর্ণনা প্রদানের কারণে বীমা দাবি নাকচ করা হয়। এছাড়াও চাহিদা অনুসারে স্টিভেন নিজের জন্য অন্তত সমমূল্যের জীবন বীমা কভারেজ নিশ্চিত করতে পারেননি।
গ্রেগ মিরাবেল্লি নিশ্চিত করেছেন যে, ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ এক মিলিয়ন মার্কিন ডলারের জীবন বীমা পলিসিটি ইস্যু করা হয় এবং ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ মেলিন্ডা লিন্ডসে মৃত্যুর কিছু দিন আগে মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা হয়নি।
ওই পলিসি তখন একটি অন্তর্বর্তীকালের মধ্যে ছিল এবং এখনও তা একইভাবে বৈধ আছে।
গ্রেগ আরো জানান, ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি স্টিভেনের প্রতিনিধিত্বকারী একজন এটর্নি পলিসির একটি কপি চেয়েছিলেন। একই দিন স্টিভেন লিন্ডসে বীমা দাবি জমার ব্যাপারে জানতে চান এবং এর পরের দিন একটি ক্লেইম প্যাকেটের অনুরোধ জানান।
এদিকে মামলার প্রসিকিউটররা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য বীমা পলিসিকে সম্ভাব্য অভিপ্রায় বা উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা আরো বলেছেন, স্টিভেন ও মেলিন্ডা লিন্ডসে বিল পরিশোধ করতে পারছিলেন না এবং সমস্যায় পড়েছিলেন।
আর এ কারণেই মেলিন্ডা তার আগের চাকরিতে বিদেশি ড্যান্সার হিসেবে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্টিভেনের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচারকার্য চলমান রয়েছে।
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766