ঢাকা ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি


ব্রিটেনে মুসলিম এওয়ার্ড পেলেন সিলেটের ইয়াসমিন

abdul
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৬, ০৪:১১ অপরাহ্ণ
ব্রিটেনে মুসলিম এওয়ার্ড পেলেন সিলেটের ইয়াসমিন

এসবিএন নিউজ: বাংলাদেশী বংশদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক ব্যবসায়ী ইয়াসমিন চৌধুরী (হ্যাপী) দেশের জন্য অনন্য এক সম্মান বয়ে এনেছেন।

দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের ভিখারী হিসেবে নয় মানুষের মতো মানুষ হিসেবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের স্বীকৃত হিসেবে এই বিরল সম্মান অর্জন করেন।

তিনি মনে করেন মানুষকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিতে পারলে দারিদ্র দূর হবে, সমাজে শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে। কারো কাছে হাত পাতা নয় নিজের পায়ে দাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

তিনি সিলেটের কৃতি সন্তান এবং চ্যারিটি সংগঠন লাভদেশ (Lovedesh) ও চ্যারিটি আমকারিজার প্রতিষ্ঠাতা।

তার অসাধারণ দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার স্বীকৃত স্বরূপ আল-রায়ান ব্যাংক প্রবর্তিত চতুর্থ বার্ষিক জাতীয় বিট্রিশ মুসলিম এওয়ার্ড লাভ করেছেন। গ্রেট ব্রিটেনে এই পুরষ্কারটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ।

ইয়াছমিন চৌধুরী হ্যাপী দীর্ঘদিন যাবৎ তার পৈত্রিক এলাকা বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগরে অবহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত ও অসহায় ও বেকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য একাই বিশাল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। যা তার মরহুম পিতা মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরীর সাথে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি তার পিতার মতো সমাজের অবহেলিত, কষ্ট পীড়িত নিরন্ন মানুষের জন্য নি:স্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি তার মরহুম পিতার লালিত স্বপ্ন মানুষের জন্য সহযোগিতা ও সহানুভূতিগুলোর বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তার এসব কাজগুলো দেশে বিদেশে সমাদৃত হয়েছে, হাসি ফুটেছে অনেক অনগ্রসর পিছিয়ে পড়া মানুষের মুখে।

শুধু তাই নয় ইয়াসমিন চৌধুরী তাঁর কার্যক্রমের বড় এক স্বীকৃতি ২৮ জানুয়ারী অর্জন করেছেন। ঐদিন ব্রিটিশের ১০টি সেরা চ্যারিটির মধ্যে ইয়াছমিন চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত লাভদেশ (Lovedesh) ও আমকারিজা ব্রিটিশ মুসলিম এওয়ার্ড লাভ করে।

আর এ এওয়ার্ড অর্জনের বিরল সাফল্য অর্জন করেছেন ইয়াসমিন চৌধুরী হ্যাপী। তার এই সাফল্য অর্জনের পিছনে তার মরহুম পিতার অনুপ্রেরণা ও আদর্শ কাজ করেছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

গ্রেট ব্রিটেনে বছরের মর্যাদাপূর্ণ এই উদ্যোক্তা সম্মাননা এওয়ার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পুরষ্কারের উদ্দেশ্য হচ্ছে অবিশ্বাস্য সাফল্য যার উদ্যোক্তাকে কর্মশক্তি পরিচালনায় এবং সৃজনশীল সাফল্য লাভে অনুপ্রাণিত করা।

লাভদেশ ও ফিল্ম এবং দৃষ্টিগোচর প্রচারণার উপর ইয়াসমিনের কাজের জন্য জনসাধারণ ভোট প্রদান করে। যা কলঙ্কের হাতছানি চূর্ণবিচুর্ণ করে এবং গ্লোবাল বিশ্বকে উন্নতির শিখরে নিতে কাজ করে যাচ্ছে।

ইয়াসমিনের সৃজনশীল ধারণা সৃষ্টি হয় তৃতীয় বিশ্ব এর জাতি হতে, কীভাবে বৈশ্বিক বিপ্লব সাধন করা যায়। বাংলাদেশের সঙ্গে শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে, ইয়াসমিন তার খাদ্য, নকশা এবং পর্যটন পণ্য পরিসীমা বিকাশ ভ্রমন স্কাউট, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট গ্রামীণ পরিবার এবং কারিগরদের সাথে ঘাস শিকড় এ কাজ করেছেন।

তিনি Conde naste ট্রাভেলার ম্যাগাজিনের মাধ্যমে Expert for unusual destinations নামকরণ করেছেন।

ব্রিটিশ বাংলাদেশ পাওয়ার ও অনুপ্রেরণার তালিকা (২০১৪-১৫) বিশ্ব পর্যটন বাজারে ২ বার বৈশিষ্টের অধিকারী হয়েছে।

ইয়াসমিন বাংলাদেশের জন্য বিদেশী সংবাদ মাধ্যম খ্যাতি অর্জন করেছেন। ডেউচে ভেলে, গ্লোবাল জার্মান রেডিও তার চ্যানেল সাক্ষাৎকারে যখন গার্ডিয়ান পত্রিকার ২০১৪ সালের ট্রাভেল পেজ এ পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

ইয়াসমিন বিবিসি’র এক অনুষ্ঠানে একজন নারী হিসেবে ইসলাম কর্তৃক প্রদত্ত ইতিবাচক সুবিধা সম্পর্কে তার চিন্তাধারা ব্যক্ত করেন।

ইয়াসমিন চৌধুরী মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, আমি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বিশ্বস্থ ভোটে খুবই আনন্দিত। অনেক দিন যাবত আমার প্রিয় পিতার এলাকার জনসাধারণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য একা কাজ করছি। তার কাছে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম।

ব্রিটিশ মুসলিম পুরস্কার মনোনয়ন মানুষ মনেপ্রাণে বাংলাদেশ, তার কারিগর ও সাংস্কৃতিক প্রভাব গ্লোবাল যায় যে একটি নতুন Brilliant Future এর পক্ষে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আমার ভূমিকা।

ইয়াসমিন লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন এবং লন্ডনে শিক্ষার্জন করেন। তিনি লন্ডন এর ওয়েস্টমিনস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেসে স্নাতক এবং বিপননে স্নাতক।

তিনি তার কর্মজীবনে কিছু অংশ আইবিএম- এ অতিবাহিত করেন। তিনি এখন বাংলাদেশের দারিদ্রতা, দৈনন্দিক ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য কাজ করছেন। সেই সাথে মুসলিম বোন হিসেবে যাদের জন্য তিনি তাদের ইসলামী শেয়ার ও উত্তরাধিকার জমির অধিকার অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করার জন্য আন্দোলন করছেন।

ইয়াসমিনের পিতা সমাজসেবী দানবীর আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত চৌধুরী (মখন মিয়া) ২০০৪ সালে বাংলাদেশে ট্রাফি সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি ১৯৬০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি সেখানে একটি রেস্টুরেন্টের সত্তাধীকারি ছিলেন এবং বাংলাদেশের সিলেটের একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক ছিলেন। সেখানে তার প্রতিষ্টিত স্কুল, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সমাজসেবা মুলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

September 2024
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930