১০ই ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
এসবিএন ডেস্ক: বাংলাদেশে চলমান বড় বড় প্রকল্পের জন্য অর্থের প্রয়োজনের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইএমএফের নতুন নির্বাহী পরিচালক সুবীর গোকর্ণের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের এখন বড় বড় যে অনেকগুলো প্রকল্প হচ্ছে, সেগুলোর জন্য টাকা দরকার।”
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর পাশাপাশি গভীর সমুদ্র বন্দর, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো বড় বড় প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
এসব প্রকল্পের জন্য তহবিল কিভাবে জোগাড় হবে- জানতে চাইলে মুহিত বলেন, “গ্লোবালি টাকা পয়সা অনেক আছে এখন। বাট দ্য পয়েন্ট ইজ, হোয়ার ফ্রম উই শুড টেক ইট অ্যান্ড ফ্রম হোম?”
আইএমএফ-বিশ্ব ব্যাংকের পাশাপাশি চীনের উদ্যোগে গঠিত এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের দিকেও ঝুঁকেছে বাংলাদেশ।
অর্থমন্ত্রী বলে আসছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিসর বেড়ে যাওয়ায় এখন নানা স্থান থেকে তহবিল আনা দরকার বাংলাদেশের।
এর ফলে বিশ্ব ব্যাংক কিংবা আইএমএফের ঋণের উপর নির্ভরশীলতা আস্তে আস্তে কমানো হচ্ছে কি-না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কমানোর কোনো চান্স নাই। উই ওয়ান্ট মোর ফ্রম দেম। দিস ইজ দ্য বেস্ট মানি দ্যাট উই ক্যান গেট।”
চীনের বিভিন্ন কোম্পানির বিনিয়োগের বিষয়ে সতর্ক থাকতে নিজের সাম্প্রতিক বক্তব্য মনে করিয়ে দিয়ে মুহিত বলেন, “কারণ সেটা আরও এক্সপেনসিভ মানি। বাট ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং এডিবি যা পয়সা দেয়, আমি সব গ্রহণ করতে প্রস্তুত।”
বড় বড় প্রকল্পের জন্য ‘কমার্শিয়াল বরোয়িং’ করা হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কিছু কিছু কমার্শিয়াল বরোয়িং তো হবেই।”
তবে অন্য অনেক উন্নয়নশীল দেশের মতো ‘স্টুপিডলি’ ঋণ নিয়ে কোনো সঙ্কটে পড়তে চান না বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
আইএমএফের নতুন নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে বৈঠকে নতুন কোনো প্রকল্পের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
“তাদের পয়সায় আমাদের বেশি একটা কাজ হয় না। আমরা বলেছি, যখন প্রয়োজন হবে তখন ডাকব।”
সুবীর গোকর্ণের সাক্ষাতের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “তিনি নতুন ইডি। ডিসেম্বরে জয়েন করেছেন। বাংলাদেশে এটা তার প্রথম সফর। তিনি কখনোই বাংলাদেশে আসেন নাই।
তিনি মূলত বেসরকারি খাতের মানুষ। কিন্তু গত ৬ বছর রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ডেপুটি গভর্নর ছিলেন।
“তার অনেক কিছুই ভালো জানাশোনা আছে। তবে বাংলাদেশ তার কাছে একেবারেই নতুন।”
আইএমএফের সদর দপ্তরে কি হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মুহিত বলেন, “আজকে মনে হল, আইএমএফে বাংলাদেশের কনসালটেশন রিপোর্ট আলোচনা হচ্ছে। যেটা জাস্ট ওকে।
“এটাতে কিছুই বলার নেই, কেবল বলা হয়েছে, প্রোগ্রাম শেষ হয়েছে। অর্থনৈতিক দুর্বলতাগুলো দেখাবে। সাধারণভাবে এটা ভালো।”
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com