ভিয়েতনামের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে আছে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, যন্ত্র প্রকৌশল খাতে সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় । সোমবার ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ত্রান দাই কুয়াং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর স্বাক্ষরিত হয় এসব সমঝোতা স্মারক । বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী নুয়েন জুয়ান সেউয়ং এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার কাও চুয়ক হুয়াং একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন। সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান ও ভিয়েতনামের সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার ড্যাং থাই বিচ লিয়েন তৃতীয় সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট সকাল ১০টায় ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানোর পর দুই নেতার মধ্যে একান্ত বৈঠক । এরপর শুরু হয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। সেখানে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা এবং ভিয়েতনামের পক্ষে তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ত্রান দাই কুয়াং।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে দুই নেতার উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক তিনি স্বাক্ষরিত হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে ২০১২ সালে দুই দেশের মধ্যে যে সমঝোতা স্মারক হয়েছিল, এবার তা নবায়ন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে রোববার ঢাকা পৌঁছান ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ত্রান দাই কুয়াং।
গত ১৪ বছরে এটাই ভিয়েতনামের কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম বাংলাদেশে প্রথম সফর। ত্রান দাই কুয়াংয়ের স্ত্রী গুয়েন থি হিয়েনও এই সফরে তার সঙ্গে আছেন।
সোমবার সকালে সাভারে গিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট।
পরে ধানমণ্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
সফর শেষে মঙ্গলবার ত্রান দাই কুয়াংয়ের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন