৬ই মার্চ ২০২১ ইং | ২১শে ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০১৯
নোয়াখালীর তিন ভাই মানব পাচার চক্রের হোতা ।
অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্য সাগরে নৌকাডুবির হোতাদের ৫ জনের বিষয়ে তথ্য পেয়েছে সরকার ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এ মোমেন বুধবার তার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে তিউনিসিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মকর্তারা এ তথ্য পেয়েছেন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর তিন ভাই এই চক্রের হোতা। মাদারীপুরের আছে আরও দুইজন। তদের বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।
সন্দেহভাজন ওই মানব পাচারকারীদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তবে এই ব্রিফিংয়ে ৩৯ বাংলাদেশির একটি তালিকা তিনি প্রকাশ করেন, যাদের কোনো খোঁজ এখনও মেলেনি।
সংঘাতময় লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুটি নৌকায় রওনা হয়েছিলেন দেড় শতাধিক যাত্রী। তাদের মধ্যে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি মিশরের নাগরিক ছিলেন।
এর মধ্যে ৫০ জন আরোহী নিয়ে একটি নৌকা তীরে ভিড়তে পারলেও শুক্রবার ভোররাতে তিউনিসিয়া উপকূলে অন্য নৌকার যাত্রীদের ছোট একটি নৌকায় তোলার পর যাত্রীর ভারে তা ডুবে যায়।
তিউনিসিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় নৌকাডুবির ঘটনার পর প্রতিবেশী লিবিয়া থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাকে তিউনিসিয়ায় পাঠানো হয়।
এ এস এম আশরাফুল ইসলাম নামের ওই কর্মকর্তা মঙ্গলবার বলেন, নৌকা ডুবির পর যে বাংলাদেশিরা এখনও নিখোঁজ, তাদের লাশ উদ্ধারের সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে শরীয়তপুরের নড়িয়ার উত্তম কুমার নামে একজনকে শনাক্ত করার কথা জানান আশরাফুল।
বুধবারের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই একজনের বাইরে ৩৯ বাংলাদেশির নাম পরিচয় তারা নিশ্চিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২২ জনই বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের।
নৌকার আরোহীদের মধ্যে যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪ বাংলাদেশির নাম পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে চারজন আছেন তিউনিসিয়ার হাসপাতালে। বাকি ১০ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766