২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং | ১৫ই ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০১৮
গণপরিবহন না থাকায় রাজধানীতে মানুষের দুর্ভোগ ছুটির দিন শুক্রবারেও কমেনি । বাস নেই । এই সুযোগে রিকশা ও অটোরিকশা চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে ।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়কে টানা পাঁচ দিন আন্দোলনের পর শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীতে গণপরিবহণের সঙ্কট চলমান ।পরিবহন মালিকরা দাবি করেছেন , ভাংচুরের কারণে তারা বাস নামাননি। তবে এদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ির রায়েরবাগ ছাড়া কোথাও শিক্ষার্থীদের সড়কে নামতে দেখা যায়নি।
গত ২৯ জুলাই বাসচাপায় দুই কলেজছাত্রের মৃত্যুর পর সড়কে নেমে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরু হয়। এর মধ্যে বেশ কিছু গাড়িও ভাংচুর হলে বাসের সংখ্যা কমে যায়।
বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে তাদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
শুক্রবার সকালে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে কোনো বাসের দেখা না মিললেও হাতেগোনা কিছু অটোরিকশা এবং রিকশা চলছিল।
ধানমণ্ডি এলাকায় কোনো বাস চোখে পড়েনি।
জিগাতলা বাস স্ট্যান্ডে অপেক্ষারত মোজাম্মেল হোসেন বলেন, পৌনে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও মোহাম্মদপুর যাওয়ার কোনো বাস পাননি তিনি।
গুলিস্তান যাওয়ার জন্য খামারবাড়ি মোড়ে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো বাস না পাওয়ার কথা জানান ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন।
ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, “বাস তো নাই, দু’একটি সিএনজি পাওয়া গেলেও তিন-চারগুণ বেশি ভাড়া চাইছে, এভাবে আর চলে না।”
মেরুল বাড্ডা এলাকায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাস না পেয়ে সফটওয়্যার প্রকৌশলী সুজন মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর রামপুরা ব্রিজ থেকে উত্তরবাড্ডায় আত্মীয়ের বাসায় যেতে আধঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাস না পেয়ে হেঁটেই রওনা হন এনজিও কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।
গুলিস্তান থেকে নতুন বাজার রোডে চলাচলকারী বন্ধু পরিবহনের চালকের একজন সহকারী জানান, গাড়ি বের না করতে বৃহস্পতিবার রাতেই মালিকরা নিষেধ করে দিয়েছেন।
মতিঝিল-মোহাম্মদপুর রুটের মৈত্রী পরিবহনের মালিক মো. মজনু শুক্রবার সকালে বলেন, “নিরাপত্তাজনিত কারণে এবং শিক্ষার্থীদের অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি ফলে ঢাকায় সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।”
গত চার দিন ধরে তাদের কোনো বাস ঢাকার রাস্তায় চলছে না বলেও জানান তিনি।
ঢাকার আন্তঃজেলা টার্মিনালগুলো থেকে দূরপাল্লার বাসও ছাড়ছে না।
ইউনিক পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল হক বলেন, “নিরাপত্তা না থাকায় অঘোষিতভাবে বাস চলাচল বন্ধ আছে।”
ঢাকা থেকে সিলেট ও চট্টগ্রামের পথে ইউনিক পরিবহনের কোনো বাস চলছে না।
এর মধ্যে যাত্রাবাড়িতে আড়তের সামনে পরিবহন শ্রমিকদের সড়কে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তারা কোনো গাড়ি চলাচল করতে দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে আব্দুল হক বলেন, “গাড়িবন্ধ থাকায় তারা যাত্রাবাড়ির সড়কে দাঁড়িয়ে আছে, এটা অবরোধ বা সে ধরনের কিছু না।”
Corporate Office:
6/A Eskatan Garden
Dhaka, Bangladesh.
Mobile: 017111-66826
Email: mansoumit@yahoo.com
Helpline - +88 01719305766