মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে তার আলামত পাওয়া যাবে আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে। “এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে করতে পারলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উপর দেশবাসী এবং সকল রাজনৈতিক দলের আস্থা সৃষ্টি হবে। এই সুযোগ ইসির কাজে লাগবে।” আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
২০১২ সালে ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মত রংপুর সিটির নির্বাচন হয়। তবে সেই নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল না। জাতীয় পার্টির রংপুর শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ ফয়সল শাহরিয়ার জিয়াদ এবং তার অনুসারীদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রংপুরে দলের প্রার্থীর জয়ের বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন এরশাদ।
তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টিতে এখন নতুন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এখন জাতীয় পার্টির পতাকা তলে সমবেত হচ্ছেন। “আগামী (জাতীয় সংসদ) নির্বাচনেও জাতীয় পার্টির প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রতিফলন ঘটবে। তাই নির্বাচনের জন্য আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।”
বিএনপিকে কটাক্ষ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “যথাসময়ে সংবিধান অনুসারেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধোয়া তুলে নির্বাচন নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টির পায়তারা করছেন, তাদের উদ্দেশ্য কখনই সফল হবেনা। আশা করি, গণতন্ত্র সুরক্ষার স্বার্থে সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক সংগঠন আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।”
সংবাদটি শেয়ার করুন