২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
বুধবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-বিডিএফ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়, সমৃদ্ধির পথে যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি অর্জনের বড় চ্যালেঞ্জ অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করা। এজন্য উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোকে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) এর মহাপরিচালক ও সিইও সুলেমান জাসির আল হার্বিশ, বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যানেট ডিক্সন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনচাই জ্যাং, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মিনরু মসুজিমা এবং রেনজি তেরিঙ্ক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখেন ।
বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আর্ন্তজাতিক সহযোগী দেশ ও সংস্থাসমূহসহ ব্যক্তিখাতের অংশীদারিত্বকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ইউএনসিডিপি’র ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের (গ্রাজুয়েশন) যোগ্যতা লাভ করবে। এলডিসি’র থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে উন্নয়নশীল দেশসমূহের পাশে দাঁড়াতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমানে বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করে, যা গ্রাজুয়েশনের পর বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং কার্যক্ষেত্রে প্রস্তুতির মাধ্যমে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশ তার প্রভাব মোকাবেলায় কৌশলগত প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
বাংলাদেশকে অমিত সম্ভাবনার দেশ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বুকে একটি গতিশীল অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার প্রত্যয় ও উপকরণ রয়েছে আমাদের।
‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের এই বৈঠক দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যৌথ কর্মপন্থা নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’সরকারের বাস্তবধর্মী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা দেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বিগত এক দশকে আমাদের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে এই হার ৭.২৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একইসময়ে আমাদের রফতানি আয় ও বিদেশ থেকে পাঠানো
রেমিট্যান্সের পরিমাণ তিন গুণ বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় নয় গুণ বেড়ে ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
‘১৯৯১ সালে যেখানে আমাদের দারিদ্র্যের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ, আমরা সেই দারিদ্র্যের হার ২২ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। অতি দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দারিদ্র্যের হার ১৪ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেই আমাদের সরকার কাজ করছে।’
জিডিপি’র ভিত্তিতে বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ আর ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে অবস্থান ৩২তম বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক বিশ্লেষকদের মতে ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ জিডিপি ও ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে বিশ্বের যথাক্রমে ২৮ ও ২৩তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্থান করে নিতে সক্ষম হবে।
RED TIMES LIMITED
116-117, Concord Emporium,
Kataban, Dhaka-1205.
Mobile: 017111-66826
Email: redtimesnews@gmail.com